কলকাতার পর এবার ওড়িশা। সিআইডির হাতে গ্রেফতার হল এক ব্যক্তি। চিতাবাঘের চামড়া পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ল সে। এই চামড়া আর এক ব্যক্তিকে ব♑িক্রি করতে যাচ্ছিল সে। ওড়িশা সিআইডির স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) মঙ্গলবার এই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। ভুবনেশ্বরে চিতাবাঘের চামড়া বিক্রি করতে যাচ্ছিল সে। এই ঘটনা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠে𒅌ছে।
এসটিএফের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল জয়নারায়ণꦫ পঙ্কজ জানান, প্রশান্ত নায়েক বলে এক চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শহরের বারামুন্ডায় অপর এক ব্যক্তিকে চিতাবাঘের চামড়া বিক্রি করতে গিয়েছিল সে। এই প্রশান্ত নায়েকের মোটরবাইকের বাক্সে রাখা ছিল চিতা বাঘের চামড়া। যা উদ্ধার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। করণজিয়া এলাকায় বসবাস করে এই প্রশান্ত নায়েক। তা মূয়রভঞ্জ জেলার শিমলিপাল ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের কাছে। এখানে প্রচুর চিতাবাঘ রয়েছে।
এখান থেকেই সে চিতাবাঘ মেরে তার চামড়া নিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। সেই চামড়া বিক্রি করে ভাল টাকা কামাতে চেয়েছিল সে। বাঘেদের মতো চিতাবাঘেরাও সমান নিরাপত্তা পেয়ে থাকে এখানে। চিতার চামড়া বাড়ির সৌন্দর্যের কাজে লাগান꧃ো হয়। বিলাসবহুল কার্পেট তৈরিতেও এই চিতাবাঘের চামড়া ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য এসটিএফ এবং বন দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সাল সবথেকে খ꧂ারাপ বছর। কারণ এই বছরে চিতাবাঘের চামড়া-সহ অন্তত ১৫ জন পাচারকারীকে ধরা হয়েছে। জুন মাসেই চারজনক🔯ে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার মধ্যে একজন কলেজে পড়ায়। সেপ্টেম্বরে মা ও তার নাবালক ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চিতাবাঘের চামড়া অন্যত্র বিক্রি করতে যাওয়ার অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। ওড়িশার ওয়াইল্ড লাইফ সোসাইটির সচিব বিশ্বজিৎ মোহান্তির অভিযোগ, বন দফতর প্রতি বছরই ৮–৯ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। এই বছর তা অতিক্রম করে গিয়েছে। তাই চিতাবাঘের নিরাপত্তা নিয়ে গত বছর জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ নোটিশ পাঠিয়েছিল ওড়িশার ওয়াইল্ডলাইফ সোসাইটিকে।