কাছের জিনিস না দেখতে পাওয়ার সমস্যাকে এক কথায় বলা হয় মায়োপিয়া। বিশেষ করে শিশুরা এই সমস্যায় বেশি ভ🍒োগে। চোখে ভালো দেখতে পাচ্ছে না! এই সমস্যার কথা বাচ্চারা তাঁদের বাবা-মাকে প্রায়শই বলে থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ বাবা-মা পড়া না করার অজুহাত ভেবে তা পাত্তা দেয় না। কিন্তু একে অবহেলা না করে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পাওয়ার দেওয়া চশমা নেওয়া ভালো।
কোভিড কি আপনার শিশুর দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিচ্ছে? এতগুলো বছর চলে গিয়েছে সকলের জীবন থেকে। সবাই ডিজিটাল জীবনে অভস্ত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কিছু সমস্যা তো রয়েইছে। স্কুল খুলেছে, কিন্তু অনলাইনে অভ্যস্ত বাচ্চারা বাড়ি ফিরে জানাচ্ছে তারা বোর্ড দেখতে পাচ্ছে না। মাথার যন্ত্রণা, চোখে ব্যথা অনুভব করছে। একটানা মোবাইল, ল্যাপটপে পড়ার ফলে চোখের ওপর চাপ বেড়েছে। কোভিড মহামারি জীবন কেড়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের। অতিমারি পরবর্তী চোখের সমস্যা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বি💖শেষত বাচ্চাদের মধ্যে মায়োপিয়া বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে।
মহামারি পরবর্তী বছরগুলিত🌳ে মায়োপিয়ার প্রকোপ কমবে কিনা এই নিয়ে গবেষকরা নানা গবেষণা করেছেন। চিনা প্রতিবেদনে একটি রিপোর্ট বের হয়েছে যেখানে তারা ফেইচেং-এর ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬-১৩ বছর বয়সি স্কুল ছাত্রছাত্রীদের ওপর গবেষণা করেছেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৩২৫,৪৪৩ শিশুর মধ্যে ৫১.৪% ছেলে ও ৪৮.৬% মেয়েদের এসইআর অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৯-১৩ বছর বয়সিদের মধ্যে গড় এসইআর সামান্য বেশি ৬-৮ বছরের তুলনায়।
২০৫০ সালের মধ্যে মায়োপিয়ার সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাচ্চাদের বাইরে বেরনোর সুযোগ বা মাঠে খেলার সুযোগও কমেছে ফলে সারাদিনের রুটিনে বেশিরভাগ সময় কাটছে মোবাইলে। বাড়ছে চো🦩খের পাওয়ার, রেটিনার সমস্যা। কর্নিয়া বা আইবল যদি খুব দীর্ঘ হয়, তখন রেটিনার উপর স্পষ্ট ছবি তৈরি হয় নꦕা। রেটিনার পরিবর্তে চোখের আলোক সংবেদনশীল অংশে ফোকাস করে। ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায়। এই কারণেই মায়োপিয়ার সমস্যা হয়।
মায়োপিয়া থেকে বাঁচার উপায়
কোভিডের কারণে বাচ্চা থেকে বড় সকলেই ইনডোরে আটকে পড়েছে। ফলে বাড়ছে নানা অসুখ। মাথার যন্ত্রণা থেকে শুরু করে চোখের ব্যথা একটি সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। বাচ্চাদের চোখের এই সমস্যা মায়োপিয়া ꦕনামে পরিচিত। এই সমস্যা থেকে বাঁচার ဣএকটাই উপায় আউটডোর অ্যাক্টিভিটি বাড়ানো। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের পরীক্ষা আবশ্যক।