শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার কাছেই হার মানলেন ভারতের তারকা। শেষ লড়াইয়ে ম্যাগনাস কার্লসেনের কাছে হার মানেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। অভিজ্ঞতা আর তা꧅রুণ্যের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন কার্লসেনই। হার মানল💃 তারুণ্য। তবে দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে রানার্স হলেও, বিশ্বের এক নম্বর কার্লসেনের সঙ্গে জোর টক্কর দিয়ে সকলের মন জয় করে নিলেন ১৮ বছরের প্রজ্ঞা।
প্রজ্ঞানন্দ বিশ্বের তিন নম্বর ফ্যাবিয়ানো কারুয়ানা এবং বিশ্বের দুই নম্বর হিকারু𝓡 নাকামুরাকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিলেন। তবে কার্লসেনের কাছে আটকে শেষ পর্যন্ত রানার্স হন তিনি। প্রজ্ঞানন্দের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে ১.৫-০.৫ জেতেন কার্লসেন। তবে প্রজ্ঞা যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, তাতে গর্বিত গোটা ভারত। ভারতীয় দাবার ইতিহাসে এটি একটি গৌরবময় অধ্যায়। আজেরবাইজানের বাকুতে ফিডে বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়ায় সুবাদে সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে ২০২৪ সালে কানাডায় হতে চলা ক্যান্ডিডেটসের যোগ্যতা অর্জন করেছেন প্রজ্ঞানন্দ।
কিংবদন্তি বিশ্বনাথন আনন্দের পরে ১৮ বছরের গ্র্যান্ডমাস্টার প্রজ্ঞানন্দ দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ক্🐲যান্ডিডেটসের যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তিনি কিংবদন্তি ববি ফিশার এবং কার্লসেনের পরে তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় যিনি ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টে যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
এদিকে বিশ্বকাপে রানꦜার্স হয়েও প্রজ্ঞা কিন্তু মোটা ♑অঙ্কের টাকা পুরস্কার মূল্য পেয়েছেন। তিনি ৮০ হাজার ডলার আর্থিক পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৪৪ টাকা। আর চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন পেয়েছেন ১১০,০০০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৯০ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫৫১ টাকা।
মঙ্গলবার এবং বুধবার প্রথম দু’টি ক্লাসিক্যাল রাউন্ড ড্র 𝓀হওয়ায়, খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। বৃহস্পতিবার সেই লড়াইয়ে আর শেষ রক্ষা হল না। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নের কাছে হার মানলেন ১৮ বছরের প্রজ্ঞানন্দ। টাইব্রেকারে প্রথম র্যাপিড রাউন্ডে শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলতে শুরু করেছিলেন প্রজ্ঞা, কার্লসেন- দুই তারকাই। রীতিমতো স্নায়ুর যুদ্ধ চলছিল। এদিকে ঘড়ির কাটাও নিজের গতিতে এগোচ্ছিল।
তবে মাঝে একটি চাল দিতে গিয়ে সাড়ে ৬ মিনিট সময় নিয়ে নেন প্রজ্ঞানন্দ। সেখানে কিছুটা পিছিয়ে পড়েন তিনি। প্রজ্ঞার সময় কমতে থাকায় খেলায় ভুল করতে শুরু করেন তিনি। এতে তাঁর রাজা অরক্ষিত হয়ে যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করেন কার্লসেন। কারণ একটা পর𝕴িস্থিতিতে প্রজ্ঞারꦛ সময় ১০ সেকেন্ডের নীচে নেমে গিয়েছিল। সেখান থেকে হার মানা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না ১৮ বছরের তারকার।
র্যাপিডের দ্বিতীয় রাউন্ডে আবার সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলতে শꦏুরু করেন কার্লসেন। একেই অভিজ্ঞ তিনি। তার উপর উল্টোদিকে একেবারেই তরুণ প্রজ্ঞা। প্রথম টাইব্রেকে হেরে কিছুটা যিনি চাপেও পড়ে গিয়েছিলেন। ফলে সব দিক থেকেই র্যাপিডের দ্বিতীয় রাউন্ডে এগিয়ে থেকে শুরুটা করেছিলেন কার্লসেন। প্রজ্ঞা যে চাপে পড়ে গিয়েছিল, সেটা তাঁর খেলা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। প্রতিটি চাল দিতে তিনি যেমন সময় নিচ্ছিলেন, তেমনই ভুলও করে বসছিলেন। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে ২২ চালের পরে ড্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুই প্রতিযোগী। খেলা জিতে যান কার্লসেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।