যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। নিজেদের দেশে 'হোম' ম্যাচ খেলতে পারে না। ফিফা র্যাঙ্কিং ১৫৮। সেই দেশ ভারতে এসে ভারতকে হারানোর পরে হৃদয়গ্রাহী অভ্যর্থনা পেল গুয়াহাটিতে। মঙ্গলবার রাতে ম্যাচটা শেষ হওয়ার ‘ভাইকিং ক্ল্যাপ’-র মাধ্যমে শরফি মুখাম্মেদ, রহমত আকবরির মতো আফগানিস্তানের লড়াকু খেলোয়াড়দের কুর্নিশ জানান গুয়াহাটির ইন্দিরা অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামের দর্শকরা। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বা ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচের পরে দর্শকরা যে কায়দায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ‘ভাইকিং ক্ল্যাপ’ করেন, মঙ্গলবার রাতে সেরকমভাবেই স্যালুট জানানো হয় আফগান খেলোয়াড়দ🐠ের। আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। মন জিতে নিয়েছে নেটিজেনদের। তেমনই এক নেটিজেন বলেন, ‘দুর্দান্ত স্পিরিট। চূড়ান্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজেদের মাতৃভূমির প্রতি জীবন উৎসর্গ করে দেওয়া খেলোয়াড়দের অর্ভ্যথনা জানাচ্ছি আমরা। যাই হোক না কেন, এই অভ্যর্থনা পাওয়ার যোগ্য ওঁরা।’
আরও পড়ুন: চাপে কল্যাণ চৌবে! AIFF সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের প্রমౠাণ চাইল AFC
আর তাঁরা সত্যিই ‘ভাইকিং ক্ল্যাপ’ পাওয়ার যোগ্য। খাতায়কলমে গ্রুপের স সবথেকে দুর্বল দলের বিরুদ্ধে দুটি লেগ মিলিয়ে ভারত ছয় পয়েন্টই তুলে নিয়ে আগামী জুনের কাতারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার আগে ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার-পর্বে ভারত স্বস্তিতে থাকবে বলে সকলের ধারণা ছিল। কিন্তু ইগর স্টিম্যাচের ছেলেরা দুটি ম্যাচ থেকে এক পয়েন্টের বেশি পেলেন না। সৌদি আরবে ‘অ্যাওয়ে ম্যাচে’ গিয়ে ড্র করে এসেছিলেন। আর মঙ্গলবার তো ঘরের ম🌞াঠে ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও ১-২ গোলে হেরে গেলেন।
সেই হারের দায় যেমন খেলোয়াড়দের উপর বর্তায়, তেমনই নিজের দায় ঝেড়ে ফেলতে পারবেন না ভারতীয় দলের কোচ স্টিম্যাচও। মনবীর সিংরা যেমন সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন, শুভাশিস বোসদের জঘন্য ডিফেন্ডিংয়ের কারণে গোল হজম করেছে ভারত, তেমনই সাইডলাইনের পাশে স্টিম্যাচকে দিশাহীন লেগেছে। দীর্ঘদিন কোচ থেকে ভারতীয় ফুটবলকে আদৌও এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যিনি ম্যাচে দলের খারাপ ফল হলেই বাহানার ঝুড়ি নিয়ে তৈরি থাকেন। অ💙ন্যদের দোষ খুঁজতে শুরু করে দেন।
আরও পড়ুন: এটা করতে না পারলে আমি চলে যাব- দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সুনীল ছেত্রীদের হেড স্যার ইগর স্টিমা🃏চ
মঙ্গলবারও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি।🔴 ম্যাচের পরে খেলোয়াড়দের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে ভারতীয় দলের কোচ নিজের দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করলেও ইন্দিরা অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামের বাইরে ‘স্টিম্যাচ আউট’ স্লোগান ওঠে। ‘গলি গলি মে চোর হ্যা, এআইএফএফ চোর হ্যা’ স্লোগানও দিতে থাকেন ক্ষুব্ধ ভারতীয় সমর্থকরা। রীতিমতো এক সমর্থক বলেন, ‘এটা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম লজ্জাজনক মুহূর্ত।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।