ওল্ড ট্রাফোর্ড♈ে আজ যেন রঙিন সব ফুল ফুটল। হল রুদ্বশ্বাস এক লড়াই। আর সেই ধ্রুপদি লড়াইয়ের বাঁকে বাঁকে লেখা হল এক উপাখ্যান। আর এই উপাখ্যানের আসল নায়ক ‘অনামী’ আমাদ দিয়ালো। ম্যাচের ১২১ মিনিট, মানে অতিরিক্ত সময়ের ইনজুরি টাইমে আইভরি কোস্টের তরুণের গোলেই লিভারপুলকে ৪-৩ হারিয়ে এফএ কাপের সেমিফাইনালে পꦅৌঁছে গেল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।
৭ গ꧒োলের একেবারে রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার। আর সেই থ্রিলারের যবনিকা পতন হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই এফএ কাপের সেমিফাইনালের ড্র-ও অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড মুখোমুখি হবে কভেন্ট্রি সিটির। অন্য ম্যাচটিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি খেলবে চেলসির বিপক্ষে। 🌜শেষ চারের দু'টিই ম্যাচই হবে আগামী ২০ এপ্রিল।
রবিবার এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে দুই দফা পিছিয়ে পড়া ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচটা আরও আগেই জিতে যেতে পারত। কিন্তু নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ২-২ শেষ হলে, ইনজুরি টাইমে লিভারপুলের গ🅷োলকিপার কুইভিন কেলেহারকে এক🌼া পেয়েও অবিশ্বাস্য ভাবে গোল মিস করেন মার্কাস রাশফোর্ড। যার ফলে ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়।
ম্যাচের ১০৫ মিনিটে হার্ভে এলিয়টের গোলে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল লিভারপুল। তবে ৭ মিনিট পরেই সমতা ফিরিয়ে আগের ভু𝓀লের প্রায়শ্চিত্য করেন রাশফোর্ড। রোমাঞ্চের ডালি বিছানো ম্যাচের নিষ্পত্তি টাইব্রেকারে হতে চলেছে বলে যখন মনে হচ্ছিল, ঠিক তখনই ওল্ড ট্রাফোর্ডকে উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন দিয়ালো।
ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য আগ্রাসী মেজাজে ছিল ইউনাইটেড। ১০ মিনিটের মাথায় স্কট ম্যাকটমিনের গোলে তারা এগিয়েও গিয়েছিল। তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগেই ম্য়াঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের চাপ বাড়িয়ে ২-১ করে ফেলে লিভারপুল। ৪৪ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্য🅺ালিস্টার সমতায় ফেরানোর, মিনিট তিনেকের মধ্যে বিরতির ঠিক আগে ইনজুরি টাইমে মহম্মদ সালাহর গোলে ২-১ কর🦄ে লিভারপুল।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া থাকলেও, মুখ খুলতে পারছিল না। তবে ৮৭ মিনিটে ইউনাইটেডকে নিশ্চিন্ত করেন অ্যান্টোনি। তাঁর গোলেই ২-২ করে এরিক টেন হ্যাগের দল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ২-২ থাকায়, অতিরিক্ত সম🌳য়ে ম্যাচ গড়ায়। এর পরের গল্পটা সতꦫ্যিই রোমহর্ষক।
এই ম্যাচের নায়ক দিয়ালো ছাড়া আর কেউ হতেই পারেন না। ৮৪ মিনিটে রাফায়েল ভারানের পরিবর্তে নেমেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে ইউইনাইটেডে যোগ দিলেও, বেশির ভাগ সময়ে রেঞ্জার্স ও সান্ডারল্যান্ডে ধারে খেলেই কাটিয়েছেন। দীর্ঘ দিন হাঁটুর চোটে ভুগতে থাকা এই উইঙ্গার এই মরশুমে এই নিয়ে খেলতে নামার সুযোগ পেলেন মাত্র চতুর্থ বার। আর এদিনই সম্ভবত পেয়ে গেলেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মূল্যবান গোলটিও। তাঁর গোলে জয়ের হাসি হাসল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। গোলেরꦅ পর জার্সি খুলে দ্বিতীয় হলুদকার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন। তবে এই লালকার্ডের জন্য কোনও আক্ষেপ ছিল না দিয়ালোর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।