শুভব্রত মুখার্জি: লিওনেল মেসিকে নিয়ে গোটা বিশ্বের সর্বত্রই একটা আলাদা উত্তেজনা, উন্মাদনা কাজ করে। তাঁকে ঘিরে থাকা আবেগের বিচ্ছুরণ ঘটে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই। সময়ে, অসময়ে তাঁর প্রতি সমর্থকদের ভালোবাসা বাঁধ ভেঙেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ফের একবার সেই ঘটনার সাক্ষী থাকল বিশ্ব। বর্তমানে তিনি খেলছেন মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মিয়ামির হয়ে। আর সেই ক্লাবের হয়েই এশিয়া সফরে এসেছেন তিনি। আল নাসেরের বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচও খেলেছেন তিনি। এবার গিয়েছেন হংকংয়ে। স▨েখানেও ক্লাবের হয়ে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলবেন তিনি। আর সেখানে তাঁর অনুশীলন দেখতেই উপচে পড়ল ভিড়। অনুশীলনের সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোটেও পেনাল্টꦓি ছিল না, হ্যামিলের ফাউলটা লালকার্ড হওয়া উচিত ছিল- ডার্বি ড্রয়ের পর রাগে ফুঁসছেন হাবাস
স্টেডিয়ামে মেসি ঢোকার পরেই দর্শকদের চিৎকারে তখন কান পাতা দায়। তাঁকে এক ঝলক দেখতে তখন মুখিয়ে রয়েছেন সকলে। ক্যামেরা খুলে মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দি করতে তৈরি সকলে। স্টেডিয়াম জুড়ে তখন ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলকানি। কেউ হাসছেন, কেউ কাঁদছেন। ভক্তরা তাঁদের 𝐆ভগবানকে সামনেꦗ থেকে দেখতে পেয়ে কে কী করবেন, তা যেন তারা ভুলেই গিয়েছেন। চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তখন হংকংয়ের পুলিশ প্রশাসনকে। এরপর ইন্টার মিয়ামির সতীর্থদের সঙ্গে একসঙ্গে অনুশীলন করেন মেসি। হংকংয়ের বাছাই একাদশের বিপক্ষে একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে তিনি খেলবেন ইন্টার মিয়ামির হয়ে। সেখানে তাঁর অনুশীলন ঘিরেই যে জনপ্লাবন দেখা দিল, তা ম্যানেজ করতে ঘাম ছুটে গিয়েছে উদ্যোক্তাদের।
আরও পড়ুন: ওটা ফাউল ছিল, গোল নয়- মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোল নিয়ে প্রশ্ন তুলে রেফারিকে এক হাত 𓄧নিলেন কুয়াদ্রাত
স্টেডিয়ামের আশপাশের চত্বর পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়। যারা স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারেননি, সেই রকম লক্ষ লক্ষ সমর্থক বাইরেই প্রহর গুনতে থাকেন মেসিকে একবার দেখার জন্য। পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয় যে, হংকং স্টেডিয়ামের আশপাশের সমস্ত রাস্তা পুলিশ বন্ধ করে দেয়। নো এন্ট্রি জোন করে দেওয়া হয় কার্যত গোটা স্টেডিয়াম চত্বরকে। স্টেডিয়ামে দর্শকধারণ ক্ষমতা ৪০,০০০ হাজার। তা একেবারে কানায়✤ কানায় পূর্ণ ছিল। তিল ধারনের জায়গা ছিল না কোথাও। স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন ইন্টার মিয়ামির মালিক তথা তারকা ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামও। তাঁকে ঘিরেও জনতার উচ্ছাস কম ছিল না। ৩৬ বছর বয়সী তারকা এই মুহূর্তে হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যাতে ভুগছেন। তা সত্ত্বেও তিনি অনুশীলন কামাই করেননি। পরবর্তীতে একটি কোচিং ক্লিনিকের হয়ে তিনি বাছাই করা স্কুলছাত্রদের সঙ্গেও সময় কাটিয়েছেন। এখানেও তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডেভিড বেকহ্যাম। গত ডিসেম্বরে এই ম্যাচের টিকিট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা সব বিক্রি হয়ে গেছিল। মেসিরা এশিয়া সফরে ১৯ দিনে মোট ছ'টি ম্যাচ খেলবেন বিভিন্ন দেশে। ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মেজর লিগ সকারের আসন্ন মরশুম।
এত উন্মাদনা থাকলেও, মেসিকে হংকং স্টেডিয়ামে ম্যাচে খেলানো হয়নি। দ্বিতী🌊য়ার্ধে ক্রমেই জোরাল হতে থাকে দর্শকদের শোরগোল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচে লিওনেল মেসিকে খেলানো হয়নি। তাঁকে মাঠেই নামাননি ইন্টার মিয়ামির কোচ! এতে রেগে আগুন হয়ে যান হংকংয়ের দর্শকেরা। তাদের 'বুয়িং' পর্যন্ত শুনতে হয় মেসিকে। এমন কী টিকিটের টাকা ফেরত চান দর্শকরা। এদিন প্রীতি ম্যাচে রবিবার হংকং একাদশকে ৪-১ গোলে হারায় মিয়ামি। এদিন মাঠে ছিলেন ৩৮ হাজার ৩২৩ জন দর্শক। টিকিটের জন্য তাঁদের খরচ করতে হয়েছে এক হাজার হংকং ডলার। এদিন পুরোটা সময় বেঞ্চেই ছিলেন মেসি। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট থাকায় মেসিকে খেলাননি মিয়ামির কোচ জেরার্দো মার্তিনো। মেসিকে মাঠে নামানোর দা𓆏বিতে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি স্লোগান দিতে থাকেন দর্শকরা। ম্যাচের শেষে মেসিকে যখন আর নামানো হবে না পরিষ্কার হয়ে যায়, ক্ষোভে ফেটে পড়েন দর্শকেরা। স্লোগান ওঠে ‘রিফান্ড রিফান্ড’। ম্যাচ শেষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন মিয়ামির কোচ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।