শুভব্রত মুখার্জি
ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার𓄧 হার্দিক পান্ডিয়া। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তথা ভারতের হয়ে খেলা হার্দিকের পরিচিতি হার্ড হিটিং ব্যাটিং অলরাউন্ড🧜ার হিসেবেই। তাঁর নাতিদীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি ইতিমধ্যেই চোট আঘাতের সম্মুখীন হয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে তাঁর বোলিংয়ের উপরেও। দীর্ঘদিন তিনি বোলিং করতেন পারেননি। তবে বর্তমানে ধীরে ধীরে বোলিং শুরু করেছেন তিনি। এমন অবস্থায় শরীরের বাইরের চোট আঘাতের মতো শরীরের ভিতরের চোট আঘাত থেকে মুক্ত থাকাটাও চ্যালেঞ্জ। আর সেই উদ্দেশ্যেই হার্দিককে একটি ছোট্ট ঘরোয়া টোটকা বাতলে দিয়েছিলেন কিংবদন্তি কপিল দেব।
সেই ঘটনার কথা সদ্য অনুষ্ঠিত হিন্দুস্তান টাইমস সামিটে এক ভার্চুয়াল আড্ডায় খোলসা করলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ভারতের হয়ে ১৯৮৩ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতা অধিনায়🦂ক কপিল দেব হার্দিককে রোজ সকালে উঠে এক গ্লাস করে দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ, শরীরের ভিতরের চোট আঘাত সারাতে হলুদ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সামিট চলাকালীন হার্দিক নিজেই এই কথা খোলসা করেন যে, কপিল দেব স্বয়ং তাঁকে ফোন করে এই পরামর্শ দিয়েছিলেন, যা তিনি তাঁর বাবা, দাদা সহ গোটা পরিবারকে ফোন করে বলেছিলেন।
কথোপকথন চলাকালীন কপিল দেব জাꦺনান, তিনি সাধারণত কোনও ক্রিকেটারকে ফোন করে পরামর্শ দেন না। কারণ, গাভাসকর তাঁকে বলেছিলেন, যার তোমাকে প্রয়োজন পড়বে সে নিজে তোমাকে ফোন করে নেবে।
কপিল দেব আরও জানান, তিনি মনে করেছিলেন হার্দিক খুব অল্পবয়সী এবং স্পেশাল ট🍬্যালেন্ট। সুতরাং তাঁর দায়িত্ব হার্দিককে গাইড করা। সেই কারণেই তিনি সেদিন হার্দিককে ফোন করেছিলেন। তিনি হার্দিককে জিজ্ঞাসা করেন, 'তুমি হলুদ গেঞ্জি যে ভালবাসো তাতো দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু দুধে হলুদ মিশিয়ে খাচ্ছ কি?'
উত্তরে হার্দিক জানান হলুদ দেওয়া দুধ তো তিনি খাচ্ছেনই, তার🐠 পাশাপাশি কালো মরিচের একটি জুসও তিনি খাচ্ছেন। সবশেষে সেদিনকার সেই ফোনকলের জন্য তিনি কপিলদেবকে তার কৃত𒊎জ্ঞতা জানাতেও ভোলেননি। সেদিন তিনি কতটা গর্বিত এবং আনন্দিত বোধ করেছিলেন তাও জানান কপিল দেবকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।