হয়তো আইএসএল ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। তা বলে তাদের লড়াইটা ছোট করে দেখার কোনও প্রশ্নই নেই। লিগের লড়াইয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকে যে ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্লে অফে উঠেছে, তাতে নর্থ-ইস্টকে বাহবা দিতেই হয়। আর তাদের এই লড়াইটা করতে যিনি শꦫিখিয়েছেন, তিনি আর কেউ নন, খালিদ জামিল। তাঁকে ফোনে ধরা হলꦰে বলছিলেন, ‘জীবনে লড়াই তো থাকবেই। লড়াই ছাড়া সাফল্য পাওয়ার আনন্দ কোথায়। তবে টিমটাকে ফাইনালে তুলতে পারলে বেশি ভাল লাগত। সেটা পারিনি। আফসোস হচ্ছে।’
আইএসএলের টিমগুলো যখন ভারতীয় কোচেদের উপর ভরসা রাখতে পারেনি, তখন নর্থ-ইস্ট কর্তৃপক্ষ বিদেশি কোচকে সরিয়ে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন খালিদের হাতে। স্প্যানিশ কোচ জেরার্ড নাসের কোচিংয়ে নর্থ-ইস্ট মাত্র দু’টি ম্যাচ জিতেছিল, ড্র করেছিল ছ’টি ম্যাচ। ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দলটা রীতিমতো ধুকছিলো। সেখান থেকেই উত্তর-পূর😼্ব ভারতের দলটিকে প্লে-অফে তুলেছেন ৪৩ বছরের ভারতীয় কোচ। তাঁর কোচিংয়ে ৯ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নর্থ-ইস্ট। কার্যত অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছিলেন খালিদ। এটা কী ভাবে সম্ভব হল? রহস্য উন্মোচন করলেন খালিদ নিজেই। বলছিলেন, ‘সব সময় প্লেয়ারদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করি আমি। খেলার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেওয়ার পাশাপাশি ওদের চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করি। ওদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য যতটা মোটিভেট করা দরকার, সেটুকুই করি। এর বাইরে ও♍দের ফ্রি ছেড়ে রাখি। প্লেয়ারদের সব বিষয়ে ঢুকি না।’
ভারতের সব কোচেদের হয়ে জবাব দেওয়ার কি বাড়তি চাপ ছিল আপনার উপর? খালিদের মতে, ‘ভারতে অনেক ভাল কোচ রয়েছে। আবার বিদেশিরাও খারাপ নয়। যে দল যেমন পছন্দ করে। তবে আমাকে যখন নর্থ ইস্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়,ꦺ তখন একটা চাপ তো ছিলই। লড়াইটাও সহজ ছিল না। কিন্তু সেটা সবটাই টিমের জন্য। তবে এটুকু বলতে পারি, বিদেশিদের মতো অনেক যোগ্য ভারতীয় কোচ রয়েছেন। আইএসলে সুযোগ 𝐆পেলে যাঁরা নিজেদের প্রমাণ করতে পারবেন। অনেক হিসেব কিন্তু তাঁরা পাল্টে দিতে পারেন। সুযোগ পেলে আইএসএলে ভারতীয় কোচেরাও সফল হতে পারেন।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।