ট্রফি জয়ের আগে আইপিএল ౠ২০২২-এর শেষ হার্ডলে গুজরাট টাইটানস ও রাজস্থান রয়্যালস। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের লক্ষাধিক দর্শকের সামনে স্নায়ুর চাপ সামলে যে দল খেতাবি লড়াইয়ে নিজেদের যথাযথ মেলে ধরতে পারবে, ট্রফি উঠবে তাদের হাতেই। হাই-ভোল্টেজ ফাইনালের আগে গুজরাট টাইটানস ও রাজস্থান রয়্যালসের প্লাস ও মাইনাস পয়েন্টে চোখ রাখা যাক।
গুজরাট টাইটানসের প্লাস পয়েন্ট:-১. পাওয়ার প্লেতে ঋদ্ধিমান সাহার স্ট্রাইক-রেট ও ব্যাটিং গ🐎ড় দুর্দান্ত। আগ্রাসী শুরুর পরে লম্বা ইনিংস খেলার প্রবণতা দেখাচ্ছেন ঋদ্ধি। তিনি ইতিমধ্যেই ৩টি অর্ধশতরান-সহ ৩১২ রান সংগ্রহ করেছেন।
২. গিল, পান্ডিয়া ও মিলার, তিন তারকা ইতিমধ্যেই চারশো রানের গণ𒊎্ডি টপকে গিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে যে🍌, কোনও একজনের উপর নির্ভরশীল নয় দল। এই টিম গেমই বাকিদের থেকে আলাদা করে তুলেছে গুজরাটকে। গিল ৪৩৮, পান্ডিয়া ৪৫৩ ও মিলার ৪৪৯ রান করেছেন।
৩. ডেভিড মিলার ও রাহুল 𓄧তেওয়াটিয়🍌া ফিনিশার হিসেবে নিজেদের অন্য পর্যায়ে তুলে নিয়ে গিয়েছেন। কার্যত অসাধ্য সাধন করে ম্যাচ জেতাচ্ছেন দু'জনে।
৪. রশিদ খান প্রয়োজনে ব্যাট হাতেও দলের পারফর্ম্যান্সে ꧑অবদান রাখছেন। এটা গুজরাট টাইটানসের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।
৫. মহম্মদ শামি পাওয়ার প্লে-তে উইকেট নিচ্ছেন। মাঝের ওভারে উইকেট তুলছেন রশিদ ♉খান। যশ দয়ালও বল হাতে অবদান রাখছেন। শামি ১৯টি, রশিদ ১৮টি ও দয়াল ১০টি উইকেট নিয়েছেন।
রাজস্থান রয়্যালসের প্লাস পয়েন্ট:-১. মাঝের কয়েকটা ম্যাচে তুলনায় রংচটা দেখালেও চূড়ান্ত ফর্মে রয়েছেন বাটলার। প্লে-অফের ১টি ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি ও ১টি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন। সুতরাং আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছেন তিনি। ট🐭ুর্নামেন্টে ইতিমধ্যেই ৮২৪ রান সংগ্রহ করেছেন বাটলার।
২. বড় রান করতে না পারলেও পাওয়ার প্লে-তে 𝔉যশস্বী জসওয়ার আগ্রাসী শুরু করছেন। ফলে চাপ কমছে বাকিদের।
৩. যুজবেন্দ্র চাহাল বেগুনি টুপি জয়ের দোরগোড়ায় রয়েছেন। ফাইনালে শ𒆙েষ কামড় দিয়ে নিজের মূল্য বোঝাতে চাইবেন চাহাল। আপাতত তিনি ২৬টি উইকেট নিয়েছেন।
৪. সঞ্জু স্যামসন ক্যাপ্টেন হিসেবে নিজেরে পরিণত করে তুলেছেন। ব্যাট হাতেও সামনে থেকে নেꦛতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। স্যামসন ৪৪৪ রানে সংগ্রহ করেছেন এখনও পর্যন্ত।
৫. রবিচন্দ্রন অশ্বিন অল-রাউন্ডারের ভূমিকা পালন করছেন। তিনি ১২টি উইকেট নেওয়া ছাড়াও ১৮৫ রানܫও করেছেন। দলের হয়ে ওভার প্রতি সব থেকে কম রান দিয়েছেন অশ্বিনই।
গুজরাটের মাইনাস পয়েন্ট:- স্লগ 🌺ওভার বোলিং গুজরাটের সব থেকে বড় মাথাব্যাথার কারণ। রশিদের বোলিং কোটা শেষ হওয়ার পরেই ডেথ ওভারে যথেচ্ছ রান খরচ করতে দেখা যাচ্ছে শামি-যশ দয়ালদের।
রাজস্থানের মাইনাস পয়েন্ট:- আমবাদের পিচ থেকে সাহায্য পেয়ে প্রসিধ কৃষ্ণা, ওবেদ ম্যাকয় ও ট্রেন্ট বোল্ট দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে নজর কেড়েছেন। তবে পিচে স্পিনাররা তেমন একটা সাহায্য 𝓀পাননি। অশ্বিন-চাহাল ব্যর্থ হলে রাজস্থানের পক্ষে ট্রফি জেতা মুশকিল। কেননা, গিল, হার্দিক, ঋদ্ধি, মিলাররা পেস বোলিংয়ের বিরুদ্✤ধে তুলনায় স্বচ্ছন্দ। ইডেনের প্রথম কোয়ালিফায়ারেই সেটা বোঝা গিয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।