রিঙ্কু সিং এই বছর আইপিএলে সেনসেশন হয়ে উঠেছেন। গুজরাট টাইটান্♊সের বিরুদ্ধে পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মারা থেকে শুরু করে মধ্য ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেরুদণ্ড হয়ে ওঠা পর্যন্ত- আলিগড়ের রিঙ্কু সিং বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছেন এই মরশুমে। তাঁকে জাতীয় দলে নেওয়ার দাবিও উঠে গিয়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনের কথা উজাড় করেছেন রিঙ্কু। কী বলেছেন রিঙ্কু?
লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করা:
আমি ইউপির হয়ে খেলি এবং সেখানেও আমি পাঁচ বা ছয় নম্বরে ব্যাট করি। 🔜আমি সেই জায়গায় অভ্যস্ত। নেটেও আমি শেষে নেমেই বহু বার অনুশীলন করেছি।
আরও পড়ুন: নিজে ভালো খেললেও ফের ব্যর্থ RCB, রুটিন সান্ত্বনা বার্তা দিয়ে কাজ সার🎐লেন কোহলি
কঠোর পরিশ্রম:
কেউ আমার পরিশ্রম দেখেনি এবং সবাই শুধু আমার সাফল্য দেখেছে। আমি এমন একটি পটভূমি থেকে এসেছি, যেখানে আমার জীবনে কিছুই ছিল না। আমি একটি দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছি। আমাদের কোনও টাকা ছিল না। আমার কোনও যোগ্যতা বা পড়াশোনা 💙ছিল না।
আমার মা আমাকে ঝাড়ুদারের কাজ করতে বলেছিলেন, যাতে আমি আমার পরিবারের জন্য ক🔥িছু অর্থ উপার্জন করতে পারি। এই পরিস্থিতি থেকে একমাত্র যে🎶টা আমাকে বের করে আনতে পারত তা হল ক্রিকেট এবং আমি এর জন্য যে কোনও পরিশ্রম করতে প্রস্তুত ছিলাম। অনেক লোক আমাকে সময়ে সময়ে সাহায্য করেছে এবং কেকেআর যে ভাবে আমার পিছনে দাঁড়িয়েছে, সেটাই আমার এখানে উঠে আসার একটা কারণ।
আরও পড়ুন: প্লে-অফের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভাসলে সবচেয়ে বেশি সুবিধে পাবে কোন দ🌌ল?
মানসিক শক্তি:
চোট-পরবর্তী পুরো সময়টা আমাকে মানসিক ভাবে শক্ত করে তুলেছিল। তিন বছর আগে আমার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল, এবং তিন মাস আমি বিছানায় ছিলাম। আমি দুই মাসের বেশি সময়ে শয্যাশায়ী ছিলাম। মাটিতে পা-ই রাখতে পারিনি ওই সময়ে। এর পর খোঁড়াতে খোঁড়াতে চলতাম। আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ হয়ে উঠেছিল বাথরুমে যাওয়া, যেটা প্রথম তলায় ছিল। আমাকে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হত। শুধু আমি জানি, কীসের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। এটাই আমাকে মানসিক ভাবে কঠিন করে তুলেছে। তখন মনে হত, এর পর কী হত। সাত মাসের ব্যবধান একটা লম্বা সময়। সবটা কি ভোলা যায়? তবে মানসিক ভাবে শক্তিশালী থাকার চেষ্টা🎶 করেছিলাম এবং আমি জানতাম, আমি ফিরে আসব।
পাঁচ ছক্কা জীবন বদলে দিয়েছে:
আমি একই রকম ভাবে ব্যাটিং করছিলাম। সেই পাঁচটি 🗹ছক্কা আমার জীবন বদলে দিয়েছে। আগে খুব কম লোকই আমাকে চিনত। কিন্তু এখন সেই পাঁচ ছক্কার পর সবাই আমাকে চেনে। সাধারণ মানুষও আমার নাম রিঙ্কু-রিঙ্কু বলে চিৎকার করে। রাতারাতি হঠাৎ করেই সব কিছু বদলে গেল। কিন্তু আমি জানি আমি কোথা থেকে এসেছি। এই দুই মিনিটের খ্যাতি। এই লোক যারা বাহবা দিচ্ছে, আমি ব্যর্থ হলে, তারাই কালকে গালি দেবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।