২০১৪ সালে শেষবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। তার পরের ৯টি মরশুমে শুধুই ব্যর্থতার মুখ দেখতে হয়েছে কেকেআরকে। সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও নাইটদের আরও একটি মরশুম ট্রফিহী✨ন কাটাতে হয়। এবছর কলক𒈔াতা নাইট রাইডার্সের সার্বিক পারফর্ম্যান্সে চোখ রাখা যাক। খুঁজে নেওয়া যাক ব্যর্থতার কারণ।
কেকেআরের সেরা ৬ ব্যাটার:-
১. রিঙ্কু সিং- ১৪ ম্যাচে ৪৭৪ রান।
২. নীতীশ রানা- ১৪ ম্যাচে ৪১৩ রান।
৩. বেঙ্কটেশ আইয়ার- ১৪ ম্যাচে ৪০৪ রান।
৪. জেসন রয়- ৮ ম্যাচে ২৮৫ রান।
৫. রহমানউল্লাহ গুরবাজ- ১১ ম্যাচে ২২৭ রান।
৬. আন্দ্রে রাসেল- ১৪ ম্যাচে ২২৭ রান।
ব্যাটিংয়ে কেকেআরের ফ্লপস্টার:-
১. নারায়ন জগদীশান- ৬টি ইনিংসে ৮৯ রান।
২. সুনীল নারিন- ১০টি ইনিংসে ২১ রান।
৩. মনদীপ সিং- ৩টি ইনিংসে ১৪ রান।
কেকেআরের সেরা ৫ বোলার:-
১. বরুণ চক্রবর্তী- ১৪টি ইনিংসে ২০টি উইকেট।
২. সুনীল নারিন- ১৪টি ইনিংসে ১১টি উইকেট।
৩. সুয়াশ শর্মা- ১১টি ইনিংসে ১০টি উইকেট।
৪. শার্দুল ঠাকুর- ৯টি ইনিংসে ৭টি উইকেট।
৫. আন্দ্রে রাসেল- ৯টি ইনিংসে ৭টি উইকেট।
বোলিংয়ে কেকেআরের ফ্লপস্টার:-
১. উমেশ যাদব- ৮টি ইনিংসে ১টি উইকেট।
২. লকি ফার্গুসন- ৩টি ইনিংসে ১টি উইকেট।
৩. নীতীশ রানা- ৬টি ইনিংসে ৩টি উইকেট।
লিগ টেবিলে অবস্থান:-
নিজেদের ১৪টি লিগ ম্যাচের মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স ৬টি ম্যাচে জয় তুলে নেয়। পরাজিত হয় ৮টি ম্যাচে। ১২ পয়েন্ট নিয়ে কেকেআর আইপিএল ২০২৩ অভিয🎃ান শেষ করে ১০ দলের মধ্যে ৭ নম্বরে থেকে।
ইতিবাচক দিক:-
১. 𓂃এবছর রিঙ্কু সিংয়ের উত্থান কেকেআরের সব থেকে বড় পাওনা। ফিনিশার হিসেবে যে রকম পরিণতিবোধ দেখিয়েছেন রিঙ্কু, ভবিষ্যতে তাঁকে ঘিরে 🍸স্বপ্ন দেখতে পারে নাইট রাইডার্স।
২. সুয়াশ শর্মার মতো আনকোরা স্পিনারের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়াও কলকাতার কাছে ইতিব✤াচক লক্ষণ। ভবিষ্যতে সুনীল ন🅷ারিনের খামতি ঢাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন সুয়াশ।
৩. কেকেআর এবারের আইপিএল অভিযানে বুঝিয়ে෴ দিয়েছে যে, তারা বিদেশি নির্ভর নয়। রিঙ্কু সিং, নীতীশ রানা ও বেঙ্কটেশ আইয়ার ব্যাট হাতে দলকে নির্ভরতা দিয়েছেন। শ্রেয়স আইয়ার ফিরে এলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দিয়েই কাজ চালাতে পারবে কলকাতা।
৪. শুধু ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাই নন, ভারতীয় বোলাররাও কলকাতাকে নির🎃𒁏্ভরতা দিয়েছেন। বরুণ চক্রবর্তী ও সুয়াশ শর্মা ছাড়াও নূন্যতম সুযোগে হর্ষিত রানা ও বৈভব আরোরাও নিজেদের জাত চিনিয়েছেন।
ব্যর্থতার কারণ:-
১. সুনীল নারিন ম্যাচের পর ম্যচ উইꦺকেটহীন থেকেছেন। ফলে প্রভাব পড়েছে কলকাতার সার্বিক বোলিং পারফর্ম্যান্সে।
২. দু-একটি ম্যাচ ছাড়া আন্দ্রে রাসেল ব্যাট হাতে পরিচিত ছন্দে ছিলেন না। ফলে পাওয়ার হিটিংয়ে পিছি𝄹য়ে পড়ে কেকেআর।
৩. সঠিক ওপেনিং জুটি খুঁজে পেতে অনে꧋ক দেরি করে ফেলে কলকাতা। বেশিরভাগ ম্যাচেই ওপেনিং জ🌞ুটি কলকাতাকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দিতে ব্যর্থ।
৪. অনভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন্সি ও টিম ম্যানেজমেন্টের কিছু ভুল সিদ্ধান্তও কয়েকটি ম্যাচে ডুবিয়েছে কলকাতাকে। শার্দুল ঠাকুরকে যথাযথ ব্যবহারই করেনি কলকাতা। তাঁ☂কে কয়েকটি ম্যাচে ব্যাটার হিসেবে ব্যবহার করে কেকেআর, মাঠে নামিয়েও বল করতে পাঠায়নি। লকি ফার্গুসন, টিম সাউদিরা শুরুর কয়েকটি ম্যাচে ব্যর্থ হতেই ꧟তাঁদের উপর থেকে আস্থা হারায় কলকাতা। নীতীশ রানা দল পরিচালানর ক্ষেত্রেও কিছু ভুল-ভ্রান্তি করেন। যার ফল ভুগতে হয় কেকেআরকে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।