রুদ্ধশ্বাস জয়। ফের কলকাতা নাইট রাইডার্সকে অক্সিজেন দিলেন রিঙ্কু সিং। তাঁর জলবাতেই পঞ্জাব বধ করল কলকাতা। আরও একবার ফিনিশারღ হিসেবে জ্বলে ওঠেন আলিগড়ের রিঙ্কু। শেষ বলে চার হাঁকিয়ে নাইট রাইডার্সকে ম্যাচ জেতানোর পা🌃শাপাশি, প্লে-অফের লড়াইয়েও রাখলেন রিঙ্কু।
এ দিন পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচটি শেষ বলের উত্তেজনায় পৌঁছেছিল। যাকে বলে একেবারে রোমহর্ষক পরিস্থিতি। পঞ্চম বলে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। এই প🌞রিস্থিতিতে জিততে বলে শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ২ রান। আর্শদীপ সিং-এর করা ফুলটস বল সোজা ফাইন লেগের দিকে বাউন্ডারির হাইরে🧸 বের করে দেন রিঙ্কু। স্বস্তি পায় কেকেআর। রিঙ্কুর ভয়ডরহীন লড়াকু মানসিকতার সৌজন্যেই কিন্তু নাইটরা এদিন ঘরের মাঠের লড়াইয়ে পঞ্জাবের থেকে ২ পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে পারলেন। সেই সঙ্গে তারা এক লাফে লিগ টেবলের আট নম্বর থেকে পাঁচে উঠে এল।
গুজরাটের বিরুদ্ধে শেষ ওভারের শেষ 𝐆পাঁচ বলে যশ দয়ালকে পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে কেকেআর-কে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছিলেন রিঙ্কু। আর সোমবার ইডেনে নিজেদের ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধেও বাজ💜িমাত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে সরতে পারে এশিয়া কাপ, লঙ্কায় চলে যেতে পা🍰রে টুর্নামেন্ট- রিপোর্ট
ম্যাচ জিততে হলে শেষ ওভারে কেকেআর-এর প্রয়োজন ছিল ৬ রান। প্রথম চার বলে চার রান দেন আর্শদীপ। ২ বলে ২ রান প্রয়োজন ছিল নাইট রাইডার্সের। পঞ্চম বলে রাসেল রানআউট হয়ে যান। বড় ধাক্কা খায় কেকেআর। তখন নিঃস্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো গ্যালারি। তবে রিঙ্কু সিং যতক্ষণ ক্রিজে রয়েছেন, তখন বোধহয় ভয়ের কোনও জায়গা থাকে না। আর সেই ভরসাটা ফের জোগালেন রিঙ্কু। সোমবার রা൩তে ইডেনে পঞ্জাব কিংসকে ৫ উইকেটে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৯ রান তোলেন শিখর ধাওয়ানরা। ছন্দেই ছিলেন শিখর। কিন্তু তাঁকে সঙ্গত দেওয়ার মতো সে ভাবে কাউকে তিনি পাননি। প্রভসিমরন সিং ১২ করেই সাজঘরে ফেরেন। ভানুকা রাজাপক্ষে ফেরেন খালি হাতে। ৪ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নিয়ে পঞ্জাবকে চাপে ফেলে দেন হর্ষিত রানা। এর পর লিয়াম লিভিংস্টোন কিছুটা সঙ্গত করার চেষ্টা করেছিলেন শিখরকে। কিন্তু পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে তাঁকে আউট করে পঞ্জাবকে বড় ধাক্কা দেন বরুণ চক্রবর্তী। তাঁর সংগ্রহ ৯ বলে মাত্র ১৫ রান। জিতেশ শর্মা শুরুটা ভালো করলেও বড় রান করতে পারেননি। ১৮ বলে ২১ রান করে বরুণেরই শিকার হন তিনি। এর পর দলের ১১৯ রানের মাথায় শিখরও ফেরেন সাজঘরে। তাঁর ৪৭ বলে ৫৭ রানটুকুই বড় সম্বল হয়ে যায় পঞ্জাবের। তবে লোয়ার অর্ডারে ঋষি ধাওয়ানের ১১ বলে ১৯ রান, শাহরুখ খানের অপরাজিত ৮ বলে ২১ আর হরপ্রীত ব্রারের ৯ বলে ১৭ রানের হাত ধরে বড় অক্সিজেন পায় কিংস। কেকেআর-এর বরুণ ৩ উইꦏকেট নেন। ২ উইকেট নেন হর্ষিত। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সুয়াশ শর্মা এবং নীতিশ রানা।
এই উইকেটে ১৮০ রান তাড়া করা যে খুব সহজ ছিল না। যে কারণে রান তাড়া করতে নেমে নাইটরা একটু নড়বড়ই করছিল। কেকেআর-কে প্রথম ধাক্কা খায় রহমানুল্লা গুরবাজের উইকেট হারিয়ে। ১৫ রানের মাথ⭕ায় এলবিডব্লিউ হলেন রহমানুল্লা। কলকাতার অন্য ওপেনার জেসন রয় হরপ্রীতের বলে সুইপ মারতে গিয়ে ৩৮ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন। জেসন আউট হওয়ার পরে কলকাতার রানের গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল। অধিনায়ক নীতীশ রানা এবং বেঙ্কটেশ সে ভাবে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে পারছিলেন না। শেষ ১০ ওভারে জিততে দরকার ছিল ১০৪ রান। স্বাভাবিক ভাবেই চাপ বাড়ে কেকেআর-এর। এই পরিস্থিতিতে দলকে জেতাতে উঠেপড়ে লাগে নীতীশ। লিভিংস্টোনের এক ওভারে ১৬ রান নেন। সেখান থেকে রং বদলাতে শুরু করে। তবে বেঙ্কটেশ ফের ব্যর্থ হন। ১১ করে আউট হন তিনি।
নীতীশ ৩৮ বলে ৫১ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে কেকেআরকে জেতানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন আন্দ্রে রাসেল। সঙ্গে ছিলেন রিঙ্কু। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৬ রান। তখনই হা𓃲ত খোলা শুরু করলেন রাসেল। তাঁকে সঙ্গত দেন রিঙ্কু। পরের দু’ওভারে ও🐠ঠে ৩০ রান। ১৯তম ওভারে ২০ রান দেন স্যাম কারান। শেষ ওভারে ৬ রান দরকার ছিল। সেখান থেকেই নায়ক হয়ে ওঠেন রিঙ্কু। শেষ বলে চার মারার পাশাপাশি আরও একটি চার এবং ১টি ছক্কা হাঁকান রিঙ্কু। ১০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে নাইটরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।