সালটা ২০১৬। কয়েক মাস ধরেই ভারতীয় সার্কিটে তাঁর নাম শোনা যাচ্ছিল। তারইমধ্যে আসে পোল্যান্ডে আইএএএফ বিশ্ব অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানে জিতেছিলেন সোনা। তৈরি করেছিলেন ইতিহাস।🔯 সেদিনের সেই ১৮ বছরের ছেলে টোকিও অলিম্পিক্সে ঐতিহাসিক সোনা জিতেছেন। যে লক্ষ্যটা সেই ২০১৬ সালেই ঠিক করে নিয়েছিলেন নীরজ চোপড়া।
২০১৬ সালের প্রথম ভারতীয় ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিট হিসেবে কোনও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতার নজির তৈরির পর ‘হিন্দুস্তান টাইমস ব্রাঞ্চ’-এ🉐র সঙ্গে কথা বলেছিলেন। একান্ত সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, কীভাবে জ্যাভেলিনের প্রতি ভালোবাসা গড়ে উঠল, কীরকম ছিল তাঁর দুনিয়া। সঙ্গে জানিয়েছিলেন, টোকিও অলিম্পিক্সে পদক জয়ের 🐠বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
কখন জ্যাভেলিনের প্রতি ভালোবাসা গড়ে উঠেছিল?
নীরজ : ১১ বছরে আমার ওজন ছিল ৮০ কেজি। ওজন কমানোর জন্য ছুটির সময় আমি পানিপথ স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। হাতখরচ হিসেবে ৩০ টাকা মতো পেতাম। বেশিরভাগ দিন ফলের রস খাওয়ার জন্যও পয়সা থাকত না আমার কাছে। স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর জন্য বাসে করে আমি ১৭ কিলোমিটার যেতাম। তারপর কাকার সঙ্গে ফিরে আসতাম। কাকা পানিপথ শহরে কাজ করতেন। আমি ওজন কমানোর জন্য দৌড়ানো শুরু💧 করলেও খুব একটা ভালো লাগত না। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে সিনিয়র জয়বীরকে জ্যাভেলিন ছুড়তে দেখতাম। যি🌄নি হরিয়ানার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তাঁর কথা মতো একদিন আমিও জ্যাভেলিন ছুড়ি। দেখি যে অনেকটাই ছুড়তে পারছি। সেটাই আমার আত্মমর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছিল।
(নীরজ চোপড়ার ঐতিহাসিক জয় নিয়ে যাবতীয় খবর দেখতে এখা𒉰নে ক্লিক করুন)
আমার মধ্যে যে সম্ভাবনা আছে, তা জয়বীরই প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন। তবে উনি জলন্ধরে চলে যাওয়ায় কয়েক মাস আমার অনুশীলন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জ্যাভেলিন𒀰 অনুশীলনের জন্য পানিপথে কয়েকটি জায়গা আছে। অধিকাংশই ছিল মাটির ট্র্যাক। আমি পুরোপুরি গুরুত্ব সহকারে আবারও অনুশীলন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে পঞ্চকুলার একটি স্পোর্টস নার্সারিতে গিয়েছিলাম। আমার বয়স তখন ১৪। প্রথমবার আমি সিন্থেটিক ট্র্যাকে অনুশীলন করেছিলাম। জাতীয় স্তরে খেলা অ্যাথলিটদের সঙ্গে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিলাম। ২০১২ সালে লখনউ প্রথম জুনিয়র পর্যায়ে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। ৬৮.৪৮ মিটার ছুড়ে জাতীয় রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলাম।
ক্যাটরিনা কাইফ, মার্ক জুকারবার্গদের মেসেজ :
২০১৬ সালে বিশ্ব অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ে😼র পরই নীরজ মেসেজ পেয়েছিলেন ক্যাটরিনা এবং জুকারবার্গের থেকে। যে প্রতিযোগিতায় নীরজ শুধু সোনা জেতেননি, অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ে গড়েছিলেন নয়া বিশ্বরেকর্ড। যা পূর্ববর্তী রেকর্ডের তুলনায় প্রায় দু'মিটার বেশি ছিল। নীরজ বলেছিলেন, ‘(অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে) জয়ের মাহাত্ম্যটা ক্রমশ মালুম হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর থেকে প্রথম অভিনন্দন বার্তা পেয়েছিলাম। তারপর শুভেচ্ছাবার্তা এসেছিল হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী, অলিম্পিক্সে পদকজয়ী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর, ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং শিখর ধাওয়ানের থেকে। তারপর ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি এবং ক্যাটরিনা কাইফের থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছিলাম। তবে সবথেকে আনন্দের মুহূর্ত ছিল, যখন আমি পোডিয়ামে দাঁড়িয়েছিলাম। যখনই কোনও প্রতিযোগিতায় জাতীয় সংগীত বাজানো হয়, আমার চোখে জল আসে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।