গত ম্যাচের ৪০০-র অধিক লিড নিয়েও পাকিস্তানকে ফলো অন না করিয়ে পুনরায় ব্যাট করায় বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে সেই ভুল শুধরে নিয়ে জয়ের জন্য বিরাট বড় ঝুঁকি নিলেন কামিন্স। দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেটের 𒐪বিনিময়ে অস্ট্রেলিয়া ২২৭ রান তোলার পরে, লিড ৩৫০ পার করে যাওয়ায় ইনিংস ঘোষণা করে দেন কামিন্স।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট হাতে নিজের দুর্ধর্ষ ফর্ম অব্যাহত রেখে সিরিজের দ্বিতীয় শতরানটি করে ফেলেন উসমান খোয়াজা। তিনি অবশ্য ১০৪ রান করে চা বিরতির পরপরেই আউট হয়ে যান। তাঁর ওপেনিং পার্টনার ডেভিড ওয়ার্নার ৫১🍌 রান করেন, মার্নাস ল্যাবুশেন করেন ৩৬। স্টিভ স্মিথ ফের ব্যর্থ। মাত্র ১৭ রান করেন তিনি। স্মিথ আউট হতেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন কামিন্স।
দিনের তৃতীয় সেশনে সবার মুখে মুখে ঘুরছিল একটাই প্রশ্ন, কামিন্স কি সাহসিকতা দেখিয়ে সিরিজ জয়ের জন্য ঝাঁপাবেন? স্পিন সহায়ক পিচে, কামিন্স সিরিজ জয়ের জন্য সত্যিই সাহসিকতা দেখিয়ে তাড়াতাড়িই ডিক্লায়ার করে দেন। আশা ছিল দিনের শেষ অবধি অন্তত দুই উইকেট নিয়ে নিলে, শেষ দিনে ভাল জায়গায় থাকবে অস্ট্রেলিয়া। সে গুড়ে বালি। ৩৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমা꧟ম উল হক এবং আব্দুলাহ শফিক ৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে অপরাজিত থেকেই দিনটা শেষ করেন।
ইমাম খেলছেন ৪২ রানে, শফিকের সংগ্রহ ২৭। ম্যাচের শেষ দিনে পাকিস্তানের জয়ের জন্য ২৭৮ রান প্রয়োজন, যা একেবারেই অসম্ভব নয়। তবে লাহোরের পিচে যেখানে স্পিনাররা মদত পাচ্ছেন, সেখানে খুব একটা সহজও নয়। অবশ্য প্রথম দিনের শেষটা ভালভাবেই করতে পারত অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথ গোটা সফরটা মনমতো কাটেনি, তিনিই দিনে♊র শেষ ওভারে ল্যাবুশেনের বলে শফিকের ক্যাচ ফেল🙈ে দেন। ফলে অজিদের শেষ দিনে জয়ের জন্য গোটা পাকিস্তান দলকেই আউট করতে হবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।