২০১৪ সালে বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফিতে মেলবোর্ন টেস্ট ড্র হওয়ার পরেই আচমকা বিশ্বক্রিকেটকে স্তম্ভিত করে অবসরের ঘোষণা করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু ভারতের🦩 সর্বকালের অন্যতম সফলতম অধিনায়কের এই সিদ্ধান্ত প্রথম দিকে মানতে চাননি রবি শাস্ত্রী। ৯০ টেস্টে ৩৮.১০ গড়ে ৪৮৭৬ রান করে আলবিদা জানিয়েছিলেন ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটকে। আর ১০টা টেস্ট খেললেই তো শ😼ততম টেস্ট খেলা হয়ে যেত। রবি শাস্ত্রী বারবার বুঝিয়ে ছিলেন মাহিকে। কিন্তু ধোনি শোনেননি। নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন।
এ বার ধোনির টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে মুখ খুললেন শাস্ত্রী। ভারতের হেড স্যার সম্প্রতি নিজের𓆏 বই, ‘স্টার গেজিং: দ্যা প্লেয়ার্স ইন মাই লাইফ’-এ বলেছেন, ‘এমএস সেই সময় ভারতের এমনকি বিশ্বের সবথেকে বড় ক্রিকেটার ছিল। তিনটে আইসিসি খেতাব সমেত। দুটো বিশ্বকাপ তো বটেই আইপিএল থেকে মনিমানিক্য কিছু কম ছিল না ওঁর। দারুণ ফর্মে ছিল, সেই সঙ্গে ১০০ টেস্ট ম্যাচ থেকে মাত্র ১০ ম্যাচ দূরে ছিল।’ শাস্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘দলের সেরা তিনজন ফিট প্লেয়ারের একজন ছিল এমএস। ও চাইলেই নিজের কেরিয়ারের পরিসংখ্যান উন্নত করতেই পারত। হ্যাঁ ওঁর বয়স কমছিল না। তবে এতটাও বয়স হয়ে যায়নি ওঁর। সেই সময় ওঁর সিদ্ধান্ত যুক্তিহীন মনে হয়েছিল।’
তবে বর্তমানে ধোনির এই সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করছেন শাস্ত্রী। তিনি নিজের বইয়ে লিখেছেন, ‘অনেক ক্রিকেটারই বলেন, ক্রিকেটের ব্যক্তিগত নজির, মাইলস্টোন তাঁদের স্পর্শ করে না। তবে কিছু কিছু বিষয় তো তাঁদের ছুঁয়ে যায়। আমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ধোনির মন ভাঙানোর চেষ্টা করেছিলাম। তবে ওঁর কন্ঠস্বরে এমন কাঠিন্য ছিল, যে আমি আর এগোতে পারিনি। আমার মনে হয় ওঁর সিদ্ধাꦡন্ত একদম ঠিকঠাক ছিল-সাহসী এবং নিঃস্বার্থ। ক্রিকেট বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী পজিশন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মোটেই সহজ নয়।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।