🅠আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা! তারপর থেকে ভারতের মাটিতেই নির্মꦬিত হবে সবরকমের মোবাইল ফোন। ফলত, সেগুলি আর বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না।
ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই ভারতে মোবাইল উৎপাদনের পরিমাণ প্রচুর বেড়েছে। যার জেরে বিদেশ থেকে আমদানি করা মোবাইলের পরিমাণ আগের তুলনায় লক্ষ্য🐓ণীয়ভাবে কমেছে🍸।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহ থেকেই ভারতে অ্যাপল সংস্থা তাদের আইফোন প্রো এবং প্রো ম্যাক্সগুলি উৎপাদন ক🦋রতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে, গুগলও এখানে তাদের পিক্সেল💛 ৮ তৈরি করছে।
অন্যদিকে, স্যামসাংও ভারতেই🍰 তাদের সমস্ত যন্ত্রাংশ উৎপাদন করছে। যার মধ্যে এস২৪-এর মতো প্রিমিয়াম মডেলও রয়েছে।
পাশাপাশি, ওপ্পো, ভিভো, শাওমি, রিয়েলমি-র মতো চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও এখন ভারতেই তাদের পণ্য উৎপাদন করছে। সেইসঙ্গে, লাভা, মাইক্রোম্যাক🦩্সের মতো ভারতীয় সংস্থ﷽াগুলিও রয়েছে। যারা সামগ্রিকভাবে স্বদেশেই মোবাইল উৎপাদন করে চলেছে।
এই প্রেক্ষাপটে ভারত মোবাইল উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়ার🐻 পথে আরও এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
তথ্য বলছে, বর্তমানে ভারতে যত সংখ্যক মোবাইল বিক্রি হচ্ছে, তার ৯৯ শতাংশই এদেশের মাটিতে ত♌ৈরি কর🍸া হচ্ছে। আগামী দিনে বাকি ১ শতাংশ উৎপাদনও এখানেই করা হবে।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, মোবা😼ইল ফোনের ব্যবসা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছর শেষ হতে হতেই ভারতে মোবাইল আমদানি করার পরিমাণ কমে ০.২৫ শ🍷তাংশে নেমে আসবে।
শুধু তাই নয়। বলা হচ্ছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ভারতে যে পরিমাণ স্মার্টফোন কেনা-বেচা হয়েছে, দামের নিরিখে তার মাত্র ৩ শতাংশ খরচ করা হয়েছে বিদেশ থেকে আমদানি করা স্মার্টফোনে। এ💖ই আমদানি করা স্মার্টফোনের তালিকায় মূলত রয়েছে - আইফোন প্রো এবং গুগল পিক্সেলের বিভিন্ন মডেল। যেগুলি ইতিমধ্যেই ভারতে তৈরি করেছে।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে ইন্ডিয়া সেলুলার অ্য়ান্ড ইলেক্ট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (আইসিইএ)-এর চেয়ারম্যান পঙ্কজ মহীন্দ্রুকে উদ্ধৃত করে আরও দাবি করা হয়েছে, 'আমরা কিন্তু মোবাইল উৎপাদনে ১০০ শতাংশ স্বনির্ভর হওয়ার পরই থেমে যাব না।🎐 আমাদের লক্ষ্য হল, ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদ্য়ুতিন পণ্য উৎপাদন করা। আমাদের উদ্দেশ্য হল, আন্তর্জাতিক বাজার দখল করা। যাতে আগামী দিনে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম রফতানির ক্ষেত্রে ভারত সবথেকে সস্তা উৎপাদক হিসাবে সকলের নজর কাড়তে পারে।'