মার্সিডিজ না কিনে SIP করতেই সবার আগ্রহ বেশি। আর সেই কা💛রণেই বিলাসবহুল গাড়ির বিক্রি কম। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাক্𒊎ষাৎকারে এমনটাই বললেন মার্সিডিজ বেঞ্জের সেলস ও মার্কেটিংয়ের প্রধান সন্তোষ আইয়ার। আগামী জানুয়ারিতে তিনি MD ও CEO হতে চলেছেন।
ভারতে ক্রমেই বাড়ছে SIP-র বাজার। সরাসরি শেয়ার বাজারে প্রবেশ করতে না পারলেও অনেক উচ্চ-মধ্যবিত্ত এখন SIP করছেন। এছাড়া কর বাঁচাতে মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখছেন। মার্সিডিজের এই আধিকারিকের মতে, ভꦜারতীয়দের এই সঞ্চয় ও বিনিয়োগের প্রবণতার কারণেই বিলাসবহুল জিনিসের বিক্রিবাটা ജকম।
তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষা অনেক কম। আর সেই কারণে ভারতীয়দের সঞ্চয়ের একটি মানসিকতা থাকে। শুধু নিজের জন্যই নয়, সন্তানের জন্যও সঞ্চয় করার একটা অভ্যেস থাকে। পশ্চিমী দেশগুলিতে কিন্তু এমনটা নয়। সেখানে মানুষ বড়জোর নিজের জন্য যতটা হয় সঞ্চয় করেন, তার বেশি নয়। আরও পড়ুন: মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন, ১.৩ কোটির BMW নদীতে ভাসিয়ে দিল🐭েন ছেলে
সন্তোষ আইয়ার বলেন, কে𝓀উ ধরুন ৫০ হাজার টাকা SIP-তে বিনিয়োগ করেন। সেই টাকাটাই যদি বিলাসবহুল গাড়ির বাজারে আসে, তাহলেই বিক্রি হু-হু করে বেড়ে যাবে।
আরও পরিসংখ্যান দিয়ে বিষয়টি তিনি ব্যাখা করেন। তাঁর কথায়, প্রতি মাসে প্🍸রায় ১৫ হাজার মানুষ মার্সিডিজ কেনার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। কিন্তু শেষমেশ কেনেন মাত্র ১,৫০০ জন। ফলে বুঝতেই পারছেন, ১৩,৫০০ জনের মার্সিডিজ কেনার ইচ্ছা রয়েছে। কিন্তু তাঁরা হয় তো ভাবছেন, 'এখন থাক। আমার বরং SIP নিয়েই এগোনো উচিত্। বা ভাবছে শেয়ার বাজারে আবার ডিপ এসেছে।'
এই বিষয়ে নিজের সেলস টিমদেরও বুঝিয়েছেন বলে জানান সন্তোষ। তিনি বলেন, আমি ওদের সব সময়ে বলি যে এই SIP-ই আমাদের আসল প্রতিযোগী। এই বিনিꦕয়োগের পর বিনিয়োগের অভ্যেসটা ভাঙতে পারলেই আমাদের🐼 বিক্রি তুমুল হারে বেড়ে যাবে।
ভারত তথা বিশ্বজুড়ে শেয়ার বাজার বেশ অস্থির পর্যায়ে রয়েছে। তা সত্ত্বেও দিন দিন আমজনতার SIP, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহ বেড়েই চলেছে। বর্তমানে তার প্রবণতা সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। Amfi-র প্রকাশিত পরিসংখ্যা বলছে, অক্টোবর ২০২২-এ দেশে মোট ১৩ হাজার কোটি টাকার SIP বিনিয়োগ করা হয়েছে। আরও পড়ুন: হ𒁏োꩵটেলে BMW-অডির ভিড়, Tata Nano-তে চড়ে প্রবেশ রতন টাটার
এই বিপুল বিনিয়োগ মূলত মানুষের উদ্বৃত্ত আয়। সেটি তাঁরা নিজের ভবিষ্যত সুরক্ষা বা সন্তানের জন্য জমা করছেন। কিন্তু পশ্চিমী দেশে উচ্চ-মধ্যবিত্ত মানুষ চাকরি, পেশা সমাজ নিয়🍬ে তুলনামূলক সুরক্ষিত বোধ করায় এত বেশি সঞ্চয় করেন না। ফলে সেখানে সঞ্চয়ে বিনিয়োগের বদলে গাড়ির ইএমআই-তে টাকা খরচের প্রবণতা বেশি। ভারতে বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে বড় বাধা বড় সংস্থাগুলির।