হুবহু পৃথিবীর মতো, ঘুরে বেড়াচ্ছে পৃথিবীর গা ঘেঁষেই। সায়েন্স অ্যালার্ট অনুসারে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বার্নার্ড বি নামে এই আকর্ষণীয় এবং নতুন এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজে পেয়েছেন। এটিকে পরবর্তীতে চিনতে সুবিধা হওয়ার জন্য 'সাব-আর্থ' হিসাবেও শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই এক্সোপ্ল্যানেটের ওজন শুক্রের প্রায় অর্ধেক। এটি মাত্র ছয় আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। প্রতি তিন পৃথিব💎ী দিনে বার্নার্ড বি, বার্নার্ড'স স্টারকে প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: (Demat Account Fraud Case: জাল ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলে ২.๊৭৫ কোটি টাকা লুট, বিপাকে জেরোধা)
চিলির খুব বড় টেলিস্কোপ ব্💞যবহার করে এই আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। চিলির আতাকামা মরুভূমিতে ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ (ভিএলটি) ব্যবহার করে জোনে গঞ্জালেজ হারমিন্ডেজ এবং তাঁর দল এক্সোপ্ল্যানেট বার্নার্ড বি আবিষ্কার করেছেন। বার্নার্ড'স স্টার কিন্তু পৃথিবীর সৌরজগতের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র নয়। ২০১৮ সালে বিজ্ঞানীরা একটি সম্ভাব্য গ্রহের সম্ভাবনা লক্ষ্য করার পরে বার্নার্ড বি-এর অনুসন্ধান শুরু করেছিল। এদিনের আবিষ্কারের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা আরও জানতে পেরেছেন যে বার্নার্ডস নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে এমন আরও তিনটি এক্সোপ্ল্যানেট থাকতে পারে, তবে তাদের শনাক্ত করা কঠিন।
বার্নার্ড'স স্টারের আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য
বার্নার্ড'স স্টারের আরও একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হাইড্রোজেন এবং হিলিয়ামের তুলনায় এটিতে আসলে কম ভারী উপাদান রয়েছে। সাধারণত, এই ধরনের নক্ষত্রগুলিতে পাথুর গ্রহের সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হয়। আর বার্নার্ডস স্টার, এতটা আকর্ষণীয় কারণ এই ধরনের তারার চারপাশে ছোট পাথুরে গ্রহগুলি খুঁজে পাওয়া সহজ। লাল বামন হল মিল্কি ওয়ের সবচেয়ে সাধারণ নক্ষত্র। তাদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা শীতল - সূর্যের ৫,৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তুলনায় প্রায় ২,৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই 🔥শীতল তাপমাত্রা 'বাসযোগ্য অঞ্চল' খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে। এই ধরনের নক্ষত্রের চারপাশের এলাকায় সাধারণ জলের অস্তিত্ব থাকে। এই নক্ষত্র এমন গ্রহদের খুঁজে পেতে সাহায্য করে, যেখানে জীবন সম্বব।
আরও পড়ুন: (Moon Temperature: করোনার কোপে 'ঠাণ্ডা' হয়ে গিয়েছিল 𓆉চাঁদ, দাবি ভারতীয় গবেষকদের)
প্রসঙ্গত, এই নতুন খোঁজ, কেবল পৃথিবীর মতো গ্রহগুলি সম্পর্কে আরও জা🐬নতে সাহায্য করে না। বরং একই সিস্টেমে আরও এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে তোলে। গবেষণাটি লাল বামন নক্ষত্রের বিশেষ ফিচারগুলোকেও হাইলাইট করে। বাসযোগ্য বিশ্বের সন্ধানে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এগুলো যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, আর গ্যালাক্সিতে আমাদের অবস্থান আরও ভালভাবে বুঝ🐲তে সাহায্য করে এই আবিষ্কার।