বাꦜইসাইকেল, অত্যন্ত সাধারণ অথচ পরিবেশ-বান্ধব রাইড, যা কেবল চালানোই সহজ নয়, প্রত্যেকের বাজেটেও ফিট করে। সাইকেল চালাতে কোনও লাইসেন্সও লাগে না। এ কারণেই এটি বাচ্চা থেকে বড়, স⛎কলেরই খুব প্রিয় রাইড। বাইসাইকেলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল যতই যানজট থাকুক না কেন বা যতই সরু রাস্তা হোক না কেন, এটি সহজেই কারও কোনও ক্ষতি না করেই এগিয়ে যেতে পারে। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে, বেশিরভাগ দেশই এখন সাইকেলের পক্ষে।
- কে প্রথম সাইকেল আবিষ্কার করেছিলেন
১৮১৭ সালে, জার্মানির ൩বাসিন্দা কার্ল ভন ড্রেস এমন একটি দুই চাকার গাড়ি আবিষ𒀰্কার করেছিলেন, যাতে দৌড়োনোর জন্য ঘোড়ার প্রয়োজন না পড়ে। এরপর ওই গাড়িটির মেশিনটি ড্রেজিন নামে পরিচিতি লাভ করে। এটি থেকে আধুনিক সাইকেল তৈরি হয়। এরপর ১৮৬০ সালে ফ্রান্সে সাইকেলটির নাম হয়। পরবর্তীতে স্কটল্যান্ডের কির্কপ্যাট্রিক ম্যাকমিলান আধুনিক ফ্রেমের সাইকেলের প্রথম মডেল তৈরি করেছিলেন।
- সাইকেলের দেশ বলা হয় এই দেশকে
নেদারল্যান্ডসকে বিশ্বের সাইকেল রাজধানী বলা হয়। এখানকার জনসংখ্যা𓄧র মাত্র ১৭০ লক্ষ মানুষের কাছেই রয়েছে ২ কোটি সাইকেল। সাই🐼ক্লিস্টের দিক থেকে আমস্টারডাম পিছিয়ে থাকলেও, আমস্টারডামের এই শহরের মানুষ সাইকেল চালাতে খুবই ভালোবাসেন। এখানকার মানুষ যে কোনও জায়গায় যেতে সাইকেল পছন্দ করেন। এ কারণে নেদারল্যান্ডসকে সাইকেলের দেশও বলা হয়।
- জলের উপর চলে এই সাইকেল
নিউজিল্যান্ডের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মান্টা এমন একটি সাইকেল তৈরি করেছে যা জলে চলে। একটি জলরোধী লিথিཧয়াম আয়ন ব্যাট꧅ারি দিয়ে তৈরি করা, এই বৈদ্যুতিক সাইকেলটিতে একটি ৪০০ ওয়াটের মোটর রয়েছে। এটি ১০০ কেজি পর্যন্ত ভার বহন করতে সক্ষম। এই সাইকেলটির ওজন মাত্র ২০ কেজি। এই কারণেই এটি সহজেই যে কোনও জায়গায় নেওয়া যায়।
- এই সাইকেল উড়তে পারে
ব্রিটেনে প্যারাভেলো নামে এমনই একটি এয়ারক্রাফ্ট গ্রেড অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে টু-হুইলার তৈরি করা হয়েছে, যা মুহূর্তেই উড়োজাহাজে রূপান্তরিত হয়। সাইকেলটিতে একটি বড় ফ্যান, ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং অ্যাডজাস্টেবল উইংসও রয়েছে। যার সাহায্যে এই সাইকেলটি ৪০০০ ফুট উচ্চতায় ঘণ্টায় ২৫ মাইল বেগে উড়তে পারে। এটি ঘণ্টায় 𝓰১৫ মাইল বেগে রাস্তায়ও চলতে পারে। এই সাইকেলটি এতটাই হালকা এবং ছোট যে এটি সহজেই হাতে তুলে যে কোনও জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।
- সাইক্লিংয়ে এগিয়ে কোপেনহেগেন
সাইক্লিস্টের দিক থেকে কোপেনহেগেন এগিয়ে। সাইকেল ব্যবহারের ক্ষেত𒅌্র🍬ে বিশ্বের এক নম্বরে রয়েছে। এখানে ৬২ শতাংশ মানুষ দীর্ঘ দূরত্বের ক্ষেত্রেও সাইকেল চালিয়ে ভ্রমণ করে। স্কুল ও অফিসের মতো জায়গায় যেতে এখানে সাইকেল ব্যবহার করা হয়। কোপেনহেগেনের সাইকেল চালকদের জন্য সেতু ও মহাসড়ক নির্মাণে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা হয়।
গুগলের অনন্য বাইক ভিশন প্ল্যান
গুগলের উত্তর সান্তা ক্লারা কাউন্টির অফিসে হাজার হাজার সাইকেল এবং ই-বাইক রয়েছে, যা কর্মচারীরা বিনামূল্যে ব্যবহ♔ার করেন। কর্মীরা স্বল্প দূরত্বের জন্য গাড়ির পরিবর্তে সাইকেল ব্যবহার করেন। প্রতিটি গুগল অফিসের প্রবেশ ও প্রস্থানে সাইকেল এবং হেলমেট রাখা থাকে। এখানে কর্মীরা এমনকি কাজের সময় তাদের বাচ্চাদের সাথে সাইকেল চালাতে পারবেন।