কার্তিক মাসে প্রিয় শ্রী হরি ও তুলসীর পূজা করা খুবই শুভ। এর ফলে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায় 💫এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। তাই মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে এই মাসেꦡ মা তুলসী ও শ্রীবিষ্ণুর বিশেষ পূজা করা উচিত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে তুলসীর পূজা ও ভজন করলে পুরো ✅কার্তিক মাসেই পুণ্য লাভ হয়। এ ছাড়া তুলসীর পূজা করলে তার সঙ্গে সম্পর্কিত নিয়ম মেনে চলতে হবে। স্নান না করে তুলসী পাতা ভাঙা উচিত নয়। তাহলে পূজার কাজ নিষ্ফল হয়। খাবারের পর তুলসীর আপনা-আপনি ভেঙে যাওয়া বা শুকিয়ে যাওয়া পাতা খাওয়া শুভ।
পুরাণ অনুসারে, পূর্ণিম🔴া, অমাবস্যা, দ্বাদশী, রবিবার এবং সংক্রান্তির দিন ও সন্ধ্যায় এবং রাতে তুলসী ছেড়া উচিত নয়। জন্ম বা মৃত্যুর ক্ষেত্রে, তুলসী পাতা অপবিত্র সময়ে গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ তুলসী শ্রী হরি রূপে আছেন। পুরাণ অনুসারে, পশ্চ🍌িম দিকে মুখ করেও তুলসী পাতা ভাঙা উচিত নয়। তুলসী ডাল কখনোই দাঁত দিয়ে চিবানো উচিত নয়।
মা তুলসীর অপর নাম হল বিষ্ণুপ্রিয়া। তুলসী গাছের পাতা ছাড়া ভগবান বিষ্ণু বা নারায়ণের ভোগ সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে রাখা উচিত। মোটামুটি প্রতিটা বাড়িতেই আমরা তুলসী গাছ দেখতে পাই। বাড়ীতে মুখ্য দ্বারের পাশে তুলসী গাছ রাখা খুবই শুভ, বলা হয় এতে নাকি বাড়িতে কোন নেগেটিভ শক্তিไ প্রবেশ করতে পারে না বাড়ীতে। তুলসী গাছ যত বেশি 🐈ঝাঁকড়া হবে তত বেশি ভালো হয়। বাড়ির পূর্ব দিকে এবং উত্তর-পূর্ব দিকে তুলসী গাছ থাকা সবথেকে শুভ। আসুন দেখে নেওয়া যাক তুলসী গাছের ব্যাপারে কোন ভুল গুলো করলে নেমে আসতে পারে দুর্ভাগ্য।
- তুলসী গাছ সবসময় বাড়ির বাইরে থাকবে কখনো বারান্দায় বা বাড়িতে ছাদের তলায় তুলসী গাছ কে নিয়ে রাখবেন না।
- সূর্যাস্তের পর কখনো তুলসী গাছের পাতা ছিঁড়বেন না এতে নেমে আসতে পারে ঘোর অমঙ্গল।
- স্নান না করে অশুদ্ধ অবস্থায় কোনদিন তুলসী গাছে হাত দেবেন না।
- রবিবার একাদশী এবং গ্রহণের দিনগুলিতে কখনোই তুলসী গাছে জল দেবেন না।
- তুলসী গাছ কে কোনমতেই বাড়ির দক্ষিণ দিকে রাখবেন না।
- বৃহস্পতিবার তুলসী গাছে কাঁচা দুধ দিয়ে পুজো দিলে মা লক্ষ্মীর কৃপা সর্বদা আপনার বাড়িতে থাকবে।
- প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ দেবেন। যদি বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ থাকে, তাহলেও দেখবেন এই কাজটি করার তিন মাসের মধ্যে বাড়িতে আর্থিক সমৃদ্ধির রাস্তা ধীরে ধীরে খুলতে থাকবে।