আগামীকাল ২৭ শে ভাদ্র, ইংরেজি মতে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ভাদ্র মাসের অমাবস্যা তিথি। ভাদ্র মাসের অমাবস্যা তিথি অন্যান্য অমাবস্যার থেকেও খুব বিশেষ বলে প্রতিপন্ন হয়। এই💧 দিনটি তারাপীঠে দেবী তারার আবির্ভাব দিবস হিসাবে পাল⛎ন করা হয় মহা ধুমধাম সমারোহে। দেবী কালিকার কোশিকা থেকে উৎপত্তি হয়েছিল দেবী কৌশিকীর, তার নামানুসারেই এই অমাবস্যা তিথির নাম কৌশিকী অমাবস্যা।
আগামীকাল এক বিশেষ সংযোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে কৌশিকী অমাবস্যায়। এবারের কৌশিকী অমাবস্যা বৃহস্পতিবার। এই দিনটিকে অনেকে গুরুবার হিসেবেও পালন করে থাকে। বৃহস্পতিবার মূলত দেবগুরু বৃহস্পতির দিন🐓। আর দেবগুরু বৃহস্পতির আরাধ্যা দেবী হলেন মা তারা। তাই কেউ যদি বৃহস্পতির অন্তর্দশা বা মহা দশায় কষ্ট পাচ্ছেন, বৃহস্পতির শুভ ফল লাভ থেকে বঞ্চিত, তারা এই দিন বিশেষভাবে মা তা🐼রার পুজোর আয়োজন করুন। কুণ্ডলীতে বৃহস্পতি গ্রহ মজবুত হবে, শুভ ফলের প্রাপ্তি ঘটবে।
১৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৪ টে ৪৮ মিনিট থেকে অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে, এই অমা𝓀বস্যা তিথি শেষ হবে ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ৯ মিনিটে। এই দিন দিবারাত্রই থাকবে অমাবস্যা তিথি। অনেকেই এদিন নিরামিষ খা🐽বার গ্রহণ করেন। যেহেতু সারা রাত্রি অমাবস্যা তিথি থাকবে তাই মায়ের পুজোর বিশেষ আয়োজন রাত্রে করতে পারেন।
এইদিন মাকে পাঁচ রকমের ফল ও মিষ্টি দিয়ে পুজো দিন। 🌠পুজোয় অবশ্যই জবা ফুলের মালা দেবেন। ১০৮টি জবা ফুল মায়ের কাছে নিবেদন করে নিজের মনস্কামনা জানাতে পারেন ভক্তি চিত্তে। এই বꦰিশেষ দিনেই একমাত্র কুশ সংগ্রহ করা যায়। তাই এই দিন কুশ সংগ্রহ করে রাখতে পারেন সারা বছরের পুজোর জন্য।
তারাপীঠে এই দিন পোড়া শোল মাছের বিশেষ ভোগ দেওয়া হয়। অনেক জায়গাতেই এই দিন আমিষ ভোগের প্রচলন রয়েছে। দিন তন্ত্রসাধনার জন্য খুব বিশেষ। সাধক এই দিন 🅰সাধনা করে সিদ্ধি লাভ করতে পারেন। তবে এই দিন নিজের উপর সংযম রাখা 🌳খুব জরুরী। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতেই মা কৌশিকীর আবির্ভাব ঘটেছিল এই তিথিতে। তাই এই দিন জীবন থেকে নেতিবাচক থেকে দূর করতে বিশেষভাবে মায়ের কাছে প্রার্থনা করুন, মা তারা অবশ্যই মনস্কামনা পূর্ণ করবেন।