মা দুর্গার আরেক রূপ হল অন্নপূর্ণা। মা অন্নপূর্ণা অন্নদা নামেও পরিচিত। মা অন্নপূর্ণা কে বলা হয় অন্নদাত্রী। তিনি শ👍ক্তির অপর রূপ। মা অন্নপূর্ণার এক হাতে থাকে অন্ন পাত্র অন্য হাতে থাকౠে হাতা।
বাসন্তী পুজোর অষ্টমী তিথিতে মা অন্নপূর্ণার পুজো করা হয়। অন্ღন শব্দের অর্থ হলো ধান। আর পূর্ণা কথার অর্থ হলো পূর্ণ।
নানান পুরান ও গ্রন্থে দেবী অন্নপূর্ণার উল্লেখ আছে। নানা কাহিনি প্রচলিত আছে মা অন্নপূর্ণা কে নিয়ে। এর মধ্যে অন্যতম হলো কাশি উপাখ্য🍸ান।
রায়্গুনাকার ভারতচন্দ্র দেবী অন্নপূর্ণার কথা 💙উল্লেখ করে অন্নদামঙ্গল কাব্য রচনা করেছিলেন, যেখানে মা অন্নপূর্ণার মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে।
এর সঙ্গে রয়েছে আর এক পৌরাণিক কাহিনী। পুরান মতে বিবাহের পর শিব পার্বতী সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু আর্থিক অনটনের জেরে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। ভোলেনাথের সঙ্গে মায়ের মতবিরোধ হয়। মা পার্বতী কৈলাস ত্যাগ করে চলে আসেন। সেই সময় দেখা যায় মহামারি, খাদ্য কষ্ট। ভক্তরা আকুল হয়ে পড়ে, তারা দেবাদীদেবকে ডাকতে থাকে। সেই সময় ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মহাদেব। কিন্তু দেবীর মায়🍒ায় কোথাও ভিক্ষা জোটে না তার। তখন শোনা যায় কাশিতে এক নারী সকলকে অন্ন দান করছেন।
ভোলানাথ সেখানে উপস্থিত হলে, ভোলেনাথের কিন্তু মাকে চিনতে একটু অ💛সুবিধা হয় না। মহাদেব মায়ের কাছে ভিক্ষা প্রার্থনা করেন। সেই ভিক্ষা গ্রহণ করে মহামারী এবং খাদ্য ভাব থেকে ভক্তকুলকে রক্ষা করেন তিনি। এরপর কাশিতে মা অন্নপূর্ণার মন্দিরের স্থাপনা হয়। চৈত্র মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সেখানে মায়ের আবির্ভাব হয়েছিল, সেই থেকে সেখানে মায়ের পুজোর প্রচলন হয় যা আজ অন্নপূর্ণা পুজো নামে বিখ্যাত।