দেবীপক্ষের সূচনা হল আজ। বাঙালির উৎসব শুরুর চৌকাঠ বলা যায় এই মহালয়া♊ তিথিকে। ইতিমধ্যেই অবসান ঘটে গিয়েছে পিতৃপক্ষের। তবে পুরাণে, মহাকাব্যে বারবার এই মহালয়া তিথিটি ফিরে ফিরে এসেছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে।
আরও পড়ুন: শ্রীভূমির ‘ডিজনিল্যান্ডꦦ’-এ চমকের পর চমক! অবিকল ফুটে উঠল আমেরিকার থিম প��ার্ক
পুরাণ মতে মহিষাসুর তাঁর ধ্যান🍰 ও পূজার মাধ্যমে প্রজাপতি ব্রহ্মার থেকে বর লাভ করে। কোনও পুরুষ তাঁকে হত্যা করতে পারবে না - এমন বর পেয়ে একপ্রকার অমর হয়ে উঠেছিল মহিষাসুর। সে কেবল পরাজিত হবে এক নারীর কাছেই। অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবলোক ভীত, অতিষ্ঠ তখন ব্রহ্মা বিষ্ণু ও মহেশ্বর মিলে ত🤪ৈরি করলেন এক নারী শক্তি। মহামায়াই দেবী দুর্গা রূপে অবতীর্ণ হন। তাঁকে সমস্ত দেব অস্ত্র এবং অলঙ্কার দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। দেবী দুর্গা যুদ্ধে পরাস্ত করেন মহিষাসুরকে।
আরও পড়ুন: চণ্ডীপাঠে ‘মহানায়ক’ হতে পারেননি উত্তম কꦆুমার! সেদিন কী ঘটেছিল আকাশবাণীর দফতরে
মহালয়ার দিন পূর্বসূরিদের উদ্দেশ্যে জল প্রদান করা হয়। এই প্রথাকেই আমরা তর্পণ বলে থাকি। শুধ👍ু তাই নয়, এই দিন দেবী দুর্গাকে ღচক্ষুদান করা হয়। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে এই দিন দেবীপক্ষের সূচনা হয়। তবে এই দিনটির কথা পুরাণে নানাভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। নানা প্রসঙ্গে মহালয়া তিথির তর্পণের কথা ফুটে উঠেছে পুরাণশাস্ত্রের পাতায় পাতায়।
আরও পড়ুন: লিখতে ভালোবাসতেন, 🔯তবে ঠাকুরঘরের ছায়া মাড়াতেন না! কেমন ജছিলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র
পুরাণ অনুযায়ী এইদিন কোনও মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ করলে তাঁর আত্মা শান্তি পায় এবং মুক্তিলাভ করে। এইদিন পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করলে তাঁরা আশীর্বাদ করেন। জীবন💜ের নানা বাধা বিপত্তি দূর হয়।🎀 তাই অনেকেই আজও এই লগ্নে পূর্বপুরুষদের জন্য তর্পণ করেন।
মহাভারতে দেখা গিয়েছে কর্ণের অবস্থান। স্বর্গে থাকাকালীন তাকে কেবল সোনা এবং মণি রত্ন দেওয়া হতো। তিনি কখনই তাঁর পিতৃপুরুষকে জল বা খাবার খেতে দেননি। কেবল সোনা দান করেছেন।তাই এমন ব্যবহ𒈔ার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় স্বর্গে। ওই ঘটনায় কর্ণ নিজের ভুল বুঝতে পারেন। মৃত্যুর পর আবার তিনি মর্ত্যে ফেরত আসেন এবং ভুল সংশোধন করেন।
আবার আরেক পুরাণ বলছে দেবরাজ ইন্দ্রের কথা। যমরাজ দেবরাজ ইন্꧑দ্রকে ১৬ দিনের জন্য তর্পণ করতে মর্ত্যে পাঠিয়েছিলেন । এই ১৬ দিনকে একসঙ্গে বলা হয় পিতৃপক্ষ। এই গোটা সময় ধরেই পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল 🍬দান করা হয়ে থাকে। এবং কোনও শুভ কাজ করা হয় না।
অন্যদিকে রামায়ণে রয়েছে দেবীর অকাল বোধনের প্রসঙ্গ। অকালে কোনও দেবদেবীর পুজো করতে হলে আগে ইষ্ট দেবতার পুজো এবং প্রয়াত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে হয়। রাম সেই প্রথাই পালন করেছিলেন। তিনি রাবণকে বধ করার জন্য দেবী দুর্গার আশীর্বাদ চেয়েছিলেন। অকালে দেবীর আবাহন করেছিলেন বলে এই সময় তিনি তর্পণ করেꦛন। সেই থেকেই শরৎকালে বাঙালির দুর্গাপুজো।