বিজেপি বাংলায় তথা গোটা দেশে প্রত্যাশিত আসন পায়নি। ফের বিস্ফোরক অনুপম হাজরা। এর আগেও 'অপ্রিয় সত্য'বলার জেরে দলের একাংশের বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি। এবার দল প্রত্যাশিত ফলাফলের ধারে কাছে পৌঁছতে পাꦫরেনি। সব মিলিয়ে এ🦩কেবারে ডাহা ফেল করেছে বঙ্গ বিজেপি। আর তারপরই মুখ খুললেন অনুপম।
সোমবার বোলপুর আদালতে এসেছিলেন তিনি। পুরনো একটা মামলায় হাজিরা দিতে এসেছিলেন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত🗹্তরে তিনি দিলীপ ঘোষের প্রসঙ্গে বলেন, যে মানুষ যেখান থেকে জিতে আসেন তাঁকে বদলাতে নেই। দিলীপদাকে কেন অন্য জায়গায় দেওয়া হল বুঝলাম না। দিলীপদাকে তো ধরে বেঁধে হারানো হয়েছে মনে হ𒐪চ্ছে।
একাধিক বুথ ফে🐷রত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল বাংলাতে তৃণমূলের থেকেও এগিয়ে থাকবে বিজেপি। কিন্তু সেই অঙ্কের ধারে কাছে নেই গেরুয়া শিবিরে। গোটা বাংলা জুড়ে বিজেপির ভোট ম্যানেজারদে⭕র ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে।
আর বিজেপির এই ফলাফল প্রসঙ্গে অনুপম বলেন, আমি তো বলেছিলাম দু অঙ্কের ঘরে পৌঁছবে কি না। কোনওমতে টেনেটুনে দু অঙ্ক ছুঁল। হারের মূল কারণই হল পুরনো লোককে নামানো হয়নি।ꦐ তাঁদের বসে থাক🃏াটা একটা বড় কারণ। বোলপুর, বীরভূম, আসানসোল , পূর্ব বর্ধমান, যাদবপুর, বাঁকুড়ায় বিজেপির প্রার্থী হেরেছে কারণ পুরনো কর্মীরা সব বসে থেকেছেন। কেউ যোগাযোগ করেননি তাঁদের সঙ্গে।
সেই সঙ্গেই বঙ্গ বিজেপির একাংশকে একহাত নিলেন অনুপম হাজরা। অনুপম বলেন, যে দু তিনজন বঙ্গ বিজেপি চালান, তাঁরাই এর জন্য দায়ী। বছরের পর বছর বঙ্গ বিজেপি হারবে আর প্রতিবারই বলবে পরের বার ভালো করব। এই থিওরি তো থামাতে হবে। এটা নিজেদের স্বান্তনা দেওয়া। সল্টলেকে বঙ্গ বিজেপির অফিসে যে ঘুঘুর বাসা সেটাকে ভাঙতে হবে। দুতিনজন ঘুঘু এসি রুমে বসে থাকে সারা বছর। সেই ঘুঘুর বাসা ভেঙে বুথে লোক তৈরি করতে হবে। এটাই একমাত্র সমাধান। তাতে যদি বঙ্গ বিজেপির একটা সংস্কার হয়। বলছেন অনুপম। ෴
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বার বার মুখ খুলেছিলেন অনুপম। বার বার তিনি দলের একাংশের রোষের মুখ✨েও পড়েছিলেন। তবে তারপরেও তিনি তাঁর অবস্থান বদল করেননি। ফের দল পরাজিত হতেই মুখ খুললেন অনুপম। তবে এতদিন ধরে অনেকেই মুখিয়ে ছিলেন দলের এই হতশ্রী অবস্থার পরে অনুপম কী বলেন। বললেন তিনি। আর সেই সঙ্গে অস্বস্তি বাড়ল দলের। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো অনেকটা!