উত্তরাখণ্ডের একটি গ্রামের সরকারি স্কুলে দলিত মহিলার হাতের রান্না করা মিডডে মিল খেতে অস্বীকার উচ্চবর্ণ পড়ুয়াদের। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়💎ায়। স্কুলের ভোজনমাতা সুনীতা দেবীর রান্না করা খাবার খেতে চাইছে না পড়ুয়াদের একাংশ। স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধানেꦇ নেমে জানতে পারে আসল কারণ। ইতিমধ্যেই ঘটনার নিন্দা করেছেন অনেকে। উত্তরাখণ্ড ছাড়াও নিন্দার ঝড় ছড়িয়ে পড়েছে সারা ভারতে।
পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক তথা দলিত সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি মনোরঞ্জন ব্যাপারী হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, "এই ধরনের দাবি পশ্চিমবঙ্গেও উঠেছিল। মিডডে মিল খায়নি, বয়কট করেছিল। সারদেশেই জাতপাত ভায়াবহ আর তীব্র হয়ে উঠেছে। একে বিলোপ করার জন্য কোনও স্তরে কোনও বরম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বর্তমানে দেশের ক্ষমতায় আছে বিজেপি সরকার। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে আরও বাড়ছে এসব। মানুষে মানুষে ঘৃণা, হিংসা, দ্বেষ বাড়িয়ে তোলার যতগুলো উপকরণ হꦗাতের নাগালে পাওয়া যায় সবগুলোকেই তারা ব্যবহার করছে। দলিত মানুষ জলের বালতি ছুঁলে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। ঘোড়ায় চড়লে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। সারাদেশে এই অবস্থা আর ব্যবস্থা 🤡চলছে।"
বিধায়ক হওয়ার আগে একটি স্কুলে রান্না করতেন মনোরঞ্জন বাবু। তাঁর ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছিল বলে দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর কথায়, "একটা বোবা আবাসিক স্কুলে আমি দু'বেলা রান্না করতাম। সেখানে ব্যাপক আকারে এমন ঘটনা না হলেও মাঝেমধ্যে আমাকে কথা শুনতে হয়েছে-- আমরা মহান, আমরা উদার তাই তোমার মতো চণ্ডালের হাতের রান্না খাচ্ছি! একজন মহিলা ছিলেন যিনি আমার রান্না করা তরকারি আরেকবার আগুনে গরম করে খেতেন। ভাতে জল ঢেলে ফুটিয়ে জল ফেলে দিয়ে খেতেন। তবে সবাই নয়, ওই একজন মহিলাই এমন করতেন। আমি এই নিয়ে 𒁏দু-একবার মুখ খুলেছিলাম। তবে ওই মহিলার বয়স বেশি বলে আমাকে কয়েকজন এই নিয়ে বেশি হইচই করতে বারণ করেছিলেন।"