মুর্শিদাবাদের বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) সন্দীপ সান্যালকে নিগ্রহের ঘটনায় মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার তার অফিসেই চড়াও হন রোগী পরিবারের সদস্যরা। সেই অভিযোগে এ💖ই ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল ধৃতদের আদালতে তোলে পুলিশ। তাদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তৃণমূল বিধায়ক ও জ🔯েলা সভাধিপতির সামনে মুর্শিদাবাদের CMOHꦓ-কে মারধর রোগীর পরিবারের
সিএমএইচকে মারধরের ঘটনার পরেই তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে চিকিৎসক মহলে। কর্মরত চিক🐎িৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের তরফে এর তীব্র নিন্দা করা হয়। অন্যদিকে, এর প্রতিবাদে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স এবং সඣ্বাস্থ্যকর্মীরা বিক্ষোভ সভা করে প্রতিবাদ করেন। তারা দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। এদিকে, মারধরের ঘটনার পরে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল সিএমওএইচ। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যালকে রোগী পরিবারের লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রোগী পরিবারের অভিযোগ ছিল, বহরমপুর থানার বুটারডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা গোলবাহার শেখ পেটে ব্যাথা নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার অ্যাপেন্ডিক্সের অ♎পারেশন করা হয়। কিছুদিন পরে তার পেটে ইনফেকশন ছড়ালে সেখান থেকে তাকে নꦬিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে ফের তার অস্ত্রোপচার হয়।
গোলবাহার শেখের পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদ𓄧ের প্রায় ৩ লাখ টাকার বিল করে। যা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এই সমস্ত অভিযোগকে ঘিরে রোগীকে সঙ্গে করে কয়েকশো লোক নিয়ে বহরমপুরে সিএমওএইচ অফিসে আসেন হরিহরপাড়া বিধায়ক নিয়ামত শেখ ও মুꩲর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস। তারা এসে সিএমওএইচ সন্দীপ সান্যালের সঙ্গে কথা বলেন। সন্দীপ সান্যাল রোগীকে দেখতে নিচে নামলে বিধায়ক এবং সভাধিপতির সামনেই সিএমওএইচকে মারধর করে উত্তেজিত রোগী পরিবার।