সাতসকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! জাতীয় সড়কে উলটে গেল শিলিগুড়িগামী সরকারি ভলভো বাস। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ যাত্রীর। এছাড়াও, জখম হয়েছেন ১৫ থেকে ২০ জন। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানার মনোরা এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে তাদের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে। এদ♌িনের ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন: স্কুল ছুটির পর রাস্তা পার হতে গিয়ে খড়দহে ছাত্রীকে পিষে দিল লরি, আহত ﷽২ পড়ুয🧔়া
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল বাসটি। এরপর চাকুলিয়া থানার মনোরা এলাকায় আসতেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায়। দুর্ঘটনার বিকট শব্দ পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তারাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। বাসের জানলা ভেঙে এবং সামনের কাচ ভেঙে আহত যাত্রীদের বাস থেকে একের পর ꧅এক বের করেন স্থানীয়রা। অনেকেই আবার নিজেরাই বেরিয়ে আসেন। এর পাশাপাশি পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে, বসে থাকা অন্যান্য যাত্রীরাও আহ𒆙ত হয়েছেন তার মধ্যে কারও মাথা ফেটেছে, কেউ হাতে পায়ে বা শরীরের অন্যান্য অংশে চোট পেয়েছেন। 🥀এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই ওই ২ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কৈশোর আহমদ কানকি বলেন, ‘বাসটি একটি ভলভো বাস।সেটি কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। হতে পারে চালকের চোখ লেগে গিয়েছিল অথবা ♉কোনও গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে বাসটি পাল্টি খেয়ে রাস্তার পাশে উলটে যায়। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’
এর পাশাপাশি জাতীয় সড়কের অবস্থা বেহালও বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন। তাঁর বক্তব্য, ঘটনাস্থলের কাছেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের একটি অফিস আছে। অথচ সেখানে কোনও ক্রেন ꧙নেই। ক্রেন থাকলে দ্রুত বাস সরিয়ে আহতদের উদ্ধার করা যেত। এরফলে আহতদের উদ্ধার করে বাঁচানো সম্ভব হতো। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদিন উদ্ধারকাজকে কেন্দ্র করে রাস্তায় বেশকিছুক্ষণ ধরে যানজট দেখা দেয়। পরে বাসটিকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।