আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা রাজ্য। আরজি 𒈔কর হাসপাতাল তো বটেই এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জুনিয়র ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্ম বিরতি শুরু করেছেন। এমন অবস্থায় গোটা রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রোগী পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সাধারণ রোগের চিকিৎসা থেকে শুরু করে জটিল চিকিৎসা করাতে গিয়ে হাসপাতালে তুমুল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন রোগীরা। এই অবস্থার মধ্যেই বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বালুরঘাট হাসপাতাল এবং মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ। দুটি ক্ষেত্রেই চিকিৎসক না থাকার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: ব💃াইক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু হাসপাতালে, ꦿগাফিলতির অভিযোগে তাণ্ডব চালাল পরিবার
💯জানা গিয়েছে, আজ সোমবার ভোরে দক্ষিণ দিনাজপুরের পতিরামে শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে টোটোর ধাক্কায় মৃত হয় এক ছাত্রের। কার্যত চিকিৎসা না পেয়ে ছাত্রের মৃত্যু হয়। এই অভিযোগ তুলে বালুরঘাট হাসপাতালে ভাঙচুর করে মৃতের আত্মীয়রা। মৃত ছাত্রের নাম শিবম শর্মা। সে বালুরঘাট রঘুনাথপুর এলাকার বাসিন্দা। এদিন ভোর ৪ টে নাগাদ শিবম তার পরিবারের সঙ্গে পতিরামে শিবের মাথায় জল ঢালতে যাচ্ছিল। সেই সময় একটি বেপরোয়া টোটো পিছন থেকে ওই ছাত্রকে ধাক্কা মারে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ ওই শিশুকে চিকিৎসকরা চিকিৎসা করেনি বলে রোগীর পরিবারের অভিযোগ ।
সঠিক চিকিৎসা না পেয়েই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ তুলে বালুরঘাট হাসপাতালে ভাঙচুর করে রোগীর পরিবার। ঘটনার খবর🐬 পেয়ে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ বাজার সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘ🧸টনাস্থলে পৌঁছয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে ওই শিশুর পরিবার অভিযোগ জানায়।
এদিকে, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার মহেশপুরের বাসিন্দা পিয়ারুল শেখকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। তার মুখ দিয়ে রক্ত উঠছিল। প্রায় চার ঘণ্টা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালের ওপিডিতে অপেক্ষা করলেও চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি। তাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। জানা যায়, তাকে ভর্তি করার কথা থাকলেও সেখানে চিকিৎসক না থাকার কারণে দেরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দুদিন ধরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কল🃏েজ ও হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে। ত🌃ার জেরেই এরকম পরিস্থিতি বলে দাবি পরিবারের।