কথায় বলে প্রেম বয়স, জাতি, সীমানার বাধা মানে না। সেরকমই ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বছর উনিশের এক তরুণী। বৃদ্ধের সংসার আছে জেনেও নিজেকে আটকাতে পারেননি তরুণী। উল্টোদিকে, বৃদ্ধও ဣতরুণীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। কিন্তু, যুগলের মধ্যে বয়সের এত ফারাক স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেয়নি পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ। আবার দুজনে একে অপরকে ছেড়েও থাকতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন যুগল। ঘটনাটি জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ির। আজ শনিবার সকালে দুজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের দাবি, তাদের সম্পর্ক আত্মীয় পরিজনরা মেনে না নেওয়ার কারণে তারা দুজনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: ‘প্রেমঘটিত ༒কারণে 🥃আত্মহত্যা’,কোটায় ছাত্রী মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য মন্ত্রীর
𝕴স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ এবং তরুণীর বাড়ি কাছাকাছি অবস্থিত। সেই সূত্রে প্রথমে একে অপরকে ভালোলাগা এবং তারপরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজনে। এদিকে, ওই বৃদ্ধের নিজস্ব সংসার রয়েছে। তার স্ত্রী এখনও জীবিত রয়েছেন। তার পাঁচ সন্তান রয়েছেন। এমনকী তাদের মধ্যে কয়েকজন বিবাহিত। এক কথায় বয়সের শেষে সংসার জীবন প্রায় শেষের দিকে ছিল বৃদ্ধের। কিন্তু তরুণীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ার পরে আবার নতুন করে সংসার পাতার স্বপ্ন দেখেন তিনি। প্রথম দিকে দুজনের সম্পর্কের কথা জানা ছিল না পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু, বৃদ্ধ ও কিশোরীর সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের কানাঘুষো শুরু হয়ে যায়। এ নিয়ে দুই পরিবারে♕র মধ্যে বিবাদও বাঁধে।
দুজনের বয়সে বিস্তর ফারাক থাকায় স্বাভাবিকভাবেই তরুণীর পরিবার এই সম্পর্কে একেবারেই রাজি ছিলেন না। ൲জানা যায়, কয়েকদিন আগেই দুজনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর শনিবার সকালে বৃদ্ধের বাড়ির উঠোন থেকে একটি গাছে তাদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দুজনে আত্মঘাতী হয়েছে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত থানায় পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ময়নতদন্তের রিপোর্ট পেলেই সে বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে পুলিশ।