হুগলি জেলায় প্রায় ৮ হাজার নতুন শৌচালয়ের উদ্বোধন করল রাজ্য সরকার। ১৮টি ব্লকে এই শৌচালয়গুলি চালু করা হয়েছে। যার মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ৩,৫৫০টি শৌচালয়, ৩,৯১৬টি পারিবারিক শৌচালয় ও ৩৪৫টি কমিউনিটি শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সংস্কার হয়েছে ১৭৩টি শৌচালয়ের। মঙ্গলবার বিশ্ব শৌচালয় দিবস উপলক্ষে সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নার𒁃 উপস্থিতিতে এগুলির উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও ছিলেন হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না, জেলাশাস༺ক মুক্ত আর্য এবং প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: অন🍸িচ্ছা সত্ত্বেও পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতেই হয়? জানুন UTI আটকানোর কিছু টিপস
এদিন, সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই এই শৌচালয়গুলি চালু করা হয়। আরামবাগ, চুঁচুড়া, চন্দননগর ও শ্রীরামপুর মহকুমার এই ব্লকগুলিতে শৌচালয় করার ফলে যত্রতত্র শৌচকর্মের প্রবণতা কমবে বলে মনে করছে প্রশাসন। বেচারাম মান্নার দাবꩲি, রাজ্য সরকারের চেষ্টার ফলে নির্মল গ্রামের সংখ্যা বেড়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। বেচারাম আরও বলেন, হুগলিতে সার্বিক স্বচ্ছতা এবং প্রতি বাড়িতে শৌচাগার নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করছে। জেলাশাসক জানান, মানুষকে সচেতন করায় রাজ্য সরকারের লক্ষ্য।
অন্যদিকে, এদিন উলুবেড়ি🌱য়া ১ নম্বর ব্লকের কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতেও কমিউনিটি স্যানেটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা হয়। পাশাপাশি উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এইরকম শতাধিক উন্নতমানের শৌচালয় তৈরি করা হবে। প্রতিটি শৌচালয়ের জন্য নির্মাণ খরচ ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। এবিষয়ে উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রিয়াজুল হক জানিয়েছেন, আইসিডিএস সেন্টার, বাজার, পার্ক, বিদ্যালয় প্রভৃতি জনবহুল এলাকায় এইসব শৌচালয় নির্মাণ করা হবে।
এদিকে, এদিন শ্যামপুর ১ নং ব্লকে ৪টি কমিউনিটি শৌচালয়ের উদ্বোধন করা হয়। তিনটি আইসিডিএস সেন্টারেও শৌচালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সার্বিক পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তুলতে ও প্রতি বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ, তার ব্যবহার নিশ্চিত করা-সহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের তরফে চালু করা হয়েছিল ‘ ღনির্মল বাংলা’ প্রকল্প। সেই প্রকল্প অনুযায়ী যে সব বাড়িতে শৌচাগার নেই, সেই সব পরিবারে নতুন শৌচাগার তৈরির জন্য সরকার সাহায্য করে🐠 থাকে।