কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা ছাড়ার পরই আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ–সহ গ্রেফতার হল এক বিজেপি কর্মী। রাজারহাট থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এই রাজারহাটের একটি অতিথিশালায় ছিলেন খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে ♌বিজেপি কর্মীর কাছে কেন আগ্নেয়াস্ত্র ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরই এখন খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। আজ, রবিবার তাকে বারাসত আদালতে পেশ করা হবে।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম শাহাবুদ্দিন মোল্লা। লাউহাটি মোবারকপ🎃ুর দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা সে। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ নিয়ে সে বেড়িয়েছিল। তখনই তাকে গ্রেফতার করে রাজারহাট থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সদস্য মধু মোল্লাকে মারধর, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী জয়নাল আবেদ🎃িনকে মারধর এবং আলমগীর মোল্লার ভেরিতে আগুন লাগানোর অভিযোগ রয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজারহাট–🐎নিউটাউন কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ভাস্কর রা🃏য়। তখন তাঁর হয়ে সক্রিয় প্রচার করতে দেখা যায় শাহাবুদ্দিন মোল্লাকে। কিন্তু বেশকিছু ঘটনাꦡর পরই গা–ঢাকা দেয় শাহবুদ্দিন। রাতে তাকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
ঠিক কী বলছে বিজেপি? এই শাহাব⛎ুদ্দিন গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে চিনতে অস্বীকার করেছেন বি🐎জেপি নেতা ভাস্কর রায়। তিনি বলেন, ‘ও তে একসময় আইএসএফ করত। নির্বাচনের সময় আমার কাছে এসেছিল। তবে আমি ওকে নিইনি।’ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার বিষয়টি পুরো জানা নেই।’ তবে পঞ্চায়েতের সদস্য তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মধু মোল্লা বলেন, ‘ওকে বারবার ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। একবার আমায় মেরেছিল চপার দিয়ে। আমার তিনখানা গাড়ি ভেঙেছিল। আমার দলের অন্য সদস্যদেরও মেরেছিল। ভেড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল।’