দিনে দুপুর একেবারে ভয়াবহ কাণ্ড সোনারপুর স্টেশন চত্বরে। স্ত্রীকে ব্লেড মেরে পালাল স্বামী। এমনটাই অভিযোগ। স্ত্রী কনক দাসের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে গিয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি স্ত্রীর হাতে, মুখে এলোপাথারি ব্লেড চালায় তার স্বামী। তার ডান হাত ও মুখে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সোনারপুর চন্ডিতলা এলাকায় ওই দম্পতি ভাড়়া থাকেন। আদপে তারা গোসাবার বাসিন্দা। সোনারপুর স্টেশন থেকে নেমে এদিন তারা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছিলেন। স্বামী দেবকুমার দাস মদ্য়প অবস্থায় ছিল বলে বাসিন্দাদের দাবি। ঝগড়া চলাকালীনই আচমকা ব্লেড চালায় স্বামী। এরপরই এলাকা থেকে চম্পট দেয় ওই ব্যক্তি। স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল প্রামাণিক বলেন, ওদের নিজেদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হচ্ছিল। একজন বলছিল বাড়ি চলো। অপরজন বলছিল যাব না। এনিয়ে ওদের ঝগড়া হচ্ছিল। তারপরই শুনছি বউটাকে ব্লেড মেরে দিয়েছে। আমি পেছনে ফিরে কাজ করছিলাম। ঠিক বুঝতে পারিনি। তারপর লোকটা চলে গেল। বউটার হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। আমরা বললাম থানায় চলে যাও। এদিকে ঘটনার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ওই বধূকে হাসপাতালে ভর্তির ব্য়বস্থা করা হয়। পুলিশ পরে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে দম্পতির মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। তবে এদিন তা চরমে ওঠে। তারই পরিণতিতে ব্লেড চালায় ওই ব্যক্তি।