বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই লক্ষ্যে আজ, শনিবার মতুয়া গড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করে কড়া বার্তা দিলেন। রাজ্যে যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করছেন তখন রানাঘাটের সভা থেকে বিজেপিকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একইসঙ্গে জনসংযোগ না থাকায় কাঁ🍸থির পুনরাবৃত্তি হল রানাঘাটেও। এখানের পঞ্চায়েত প্রধানকে ইস্তফার নির্দেশ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সোমবার সকালের মধ্যে ইস্তফাপত্র জমা দিতে বলেছেন তিনি।
ঠিক কী ঘটেছে রানাঘাটে? রানাঘাটের মিলন মন্দির ময়দানের জনসভার মঞ্চে কড়া বার্তা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল হয়নি। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জমি শক্ত করতে রানাঘাটে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ꧑এদিন মঞ্চ থেকেই আচমকা পঞ্চায়েত প্রধানের ইস্তফা🌠র দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এরপরই সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘পার্থপ্রতিম দে আপনি কি আছেন? থাকলে বলুন, শেষ কবে গ্রামে গিয়েছিলেন? আপনি প্রধান থাকবেন কেন? সোমবারের মধ্যে ইস্তফা দিন। চার বছর এলাকায় যাননি। ব্লক সভাপতিদের বলছি প্রধান কাজ না করলে তার দায় আপনারও।’ এই মন্তব্যে কেঁপে যায় এলাকা।
ঠিক কী বার্তা দিলেন অভিষেক? একুশের নির্বাচনে কৃ্ষ্ণনগর ছাড়া এই জেলা থেকে তেমন আসন পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। সেটা মনে করিয়ে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এমন কি হল তিন–চার বছরে যে হঠাৎ করে রানাঘাটের মান✤ুষ তৃဣণমূল কংগ্রেস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বলছি, কোনও ভুল–ত্রুটি থাকলে আমাকে ক্ষমা করুন। ঘরের ছেলেকে শাসন করুন। কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। পরিযায়ী পাখিদের ভোটের পর দেখতে পাবেন না। কিন্তু 💖মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাবেন। একুশের নির্বাচনের সময় থেকে কিছু মানুষের জন্য নদিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ভয় পাবেন না নজরদারির দায়িত্বে আমি আছি।’
বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে কী বললেন অভিষেক? এদিন রানাঘাটের সভা থেকে বিজেপিকে ধুয়ে দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘ইডি-সিবিআই লাগিয়ে মোদী–শাহ ভয় দেখাবার চেষ্টা করেছে। অতীতেও মাথা উঁচু করে গিয়েছি। ভবিষ্যতেও যাব। আপনার–আমার মধ্যেকার কোনও দেওয়াল থাকবে না। সরাসরি 🅷আমার সঙ্গে কথা বলবেন। কোনও নেতাদের প্রয়োজন নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে। গা–জোয়ারি করলে একঘণ্টায় দল থেকে বের করে দেব। দু’ঘণ্টার মধ্যে দলের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে দিয়ে ব্যবস্থা নেব। যারা একুশে বেইমানি করেছেন আমার কাছে তাঁদের তালিকা আছে। ঠিকাদারি করলে পঞ্চায়েতের টিকিট নয়। আপনারা যাকে পঞ্চায়েতে দাঁড় করাতে চান তাঁরাই দাঁড়াবে।’