বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীর হাত পা ভেঙে মাথা থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রী ও মৃতের পিসতুꦍতো দাদার বিরুদ্ধে। স্বামীকে খুন করে দেহ সিঁড়ির নীচে লুকিয়ে রাখার অভিযোগও উঠেছে। এই নৃশংস খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে মৃতের পিসতুতো দাদা তথা মহিলার প্রেমিক সাহায্য করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ডেইলি মার্কেট এলাকায়।
মঙ্গলবার রাতে মৃত ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তারপর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়ছে। ঘ🍌টনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পু൩লিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার নাম পঞ্চমী মুসোহর ও মৃতের পিসতুতো দাদা মনোজ মুসোহর। এদিকে মৃতের নাম রাম মুসোহর (৩৭)। মঙ্গলবার রাতে বাড়ির সিঁড়ির নীচ থেকে রামবাবুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা ছিলেন রাম। স্ত্রী পঞ্চমী ও ১৬ বছরের ছেলে বাপি মুসোহরকে নিয়ে ভরা সংসার ছিল রামবাবুর।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রামকে প্রথমে বেধড়ক পিটিয়ে হাত পা ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর ভারী কিছু 🌜দিয়ে মাথায় মেরে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে।ঘটনাস্থল থেকে শাবল, গাঁইতি, দা উদ্ধার হয়েছে। বাপিকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
মৃতের পড়শিদের দাবি, মদ্যপান করা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় অশান্তি লেগেই থাকত। লকডাউন চলাকালীন ভিন রাজ্যে কাজ ছেড়ে রামের বাড়িতে হাজির হয় তাঁর পিসতুতো দাদা মনোজ। তারপর থেকে সেখানেই থাকতে শুরু করে সে। রামের সঙ্গে রঙের কাজ শুরু করে মনোজ। তবে অভিযোগ, সবার ꦡঅলক্ষ্যে পঞ্চমীর সঙ্গে মনোজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রতিব🎃েশীরা জানান, আগে থেকে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল রামের মদ্যপানের অভ্যাস। তালমিলিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত।
মৃতের ছেলে বাপির দাবি, মা তাঁকে জানিয়েছিল যে, তারা বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাবে। তবে এই বিষয🌼়ে নারাজ ছিল বাবা। সেকারণে কাকা মনোজ ও মায়ের সঙ্গে বাবার চরম বিবাদ বেঁধে গিয়েছিল। ঘটনার দিন অভিযুক্ত পঞ্চমী ছেলেকে গাড়ি ডাকতে পাঠায়। তবে কেন সেটা ডাকতে বলেছিল, ছেলেকে সেটা জানায়নি। এমনকী, কোথায় যাবে সেটাও জানানো হয়নি।
পুলিশের দাবি, সম্ভবত বাপিও জানত না কেন গাড়ি ডাকা হচ্ছে। ♚বাপি গাড়ি ধরার জন্য বাইরে গিয়ে একটি চালকের সঙ্গে কথাও বলে, তবে নির্দিষ্ট কোথায় যেতে হবে , কতজন যাবেন সেটা জানতে না পেরে সন্দেহ হয় চালকের। তখন চালক প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান। তারপর প্রতিবেশীরা ও চালক মিলে রামের বাড়িতে গ🗹িয়ে খোঁজ নিতেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সিড়ির নীচে রামের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। তারপরেই খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।