পরীক্ষা শেষে উত্তরপ♋ত্রের বদলে প্রশ্নপত্র জমা দিয়ে বাড়ি চলে গেল পরীক্ষার্থী। অথচ টেরই পেলেন না কর্তব্যরত শিক্ষকরা। শেষে বিষয়টি জানতে পেরে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটল। পুলিশ দেড় ঘন্টার চেষ্টায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করল প্রশ্নপত্র। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি শিলিগুড়ির বয়েজ হাইস্কুলের। উচ্চ মাধ্যমিকের অর্থনীতি পরীক্ষা শেষে সেখানে এমনই কাণ্ড ঘটেছে।
আরও পড়ুন: পে♔ন্সিল বক্সে করে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ, ছাত্রীর উꩵচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল
জানা গিয়েছে, বরদাকান্ত স্কুলের ওই ছাত্রের সিট পড়েছিল শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলে। অন্যান্য দিনের মতো পরীক্ষা দিতে এসেছিল ছাত্রটি। বুধবার ছিল অর্থনীতির প♏রীক্ষা। কিন্তু, পরীক্ষা শেষে ঘটে সেই অদ্ভুত কাণ্ড। ছাত্রটি উত্তরপত্র জমা না দিয়ে প্রশ্নপত্র জমা দিয়ে বাড়ি চলে যায়। প্রথমে পরীক্ষক বিষয়টি বুঝতে না পারলেও পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে সময় নষ্ট না করে তড়িঘড়ি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানান। তখন খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পরে পুলিশ নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রের বাড়ি থেকে উত্তরপত্র উদ্ধার করেন শিক্ষকেরা। এই ঘটনায় সময় লেগেছে দু'ঘণ্টা। এমন ঘটনার জেরে শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
স্কুল সূﷺত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্রের সংখ্যা না মেলায় তখন প্রশ্নপত্র দেখে ছাত্রকে চিহ্নিত করেন শিক্ষকেরা। তড়িঘড়ি ওই স্কুলের তরফে যোগাযোগ করা হয় বরদাকান্ত স্কুলে। সেই স্কুল মারফত ছাত্রের ঠিকানা জানতে পারেন শিক্ষকেরা। এরপর দেরি না করে পুলꦕিশ এবং শিক্ষকের দল তড়িঘড়ি ওই ছাত্রের বাড়িতে চলে যায়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুঘণ্টা পর। ছাত্রের বাড়িতে পুলিশ পৌঁছানোয় স্বাভাবিকভাবেই ভয় পেয়ে যায় ছাত্রের পরিবার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে শেষ পর্যন্ত উত্তরপত্র উদ্ধার হয়। ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে বোর্ডের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে। এছাড়াও দুই কর্তব্যরত শিক্ষকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন। পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র জমা নিয়ে থাকেন পরীক্ষক। তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না কোনটা প্রশ্নপত্র আর কোনটা উত্তরপত্র। তা সত্ত্বেও একজন শিক্ষকের কীভাবে এমন ভুল হল? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একইসঙ্গে এভাবে বাড়ি থেকে ফের উত্তরপত্র আনার বৈধতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।