আবারও বিস্ফোরক বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন মনোরঞ্জন। এমনকী তাঁকে ভোট প্রচারের কাজে না লাগানোর অভিযোগও তুলেছিলেন। যদিও হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। তবে বলাগড় বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল লিড পায়নি। তারপরেই মনোরঞ্জনের সোশ্যাল মাধ্যমে একাধিক লেখালেখি করে শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন তৃণমূল বিধায়ক। আর এবার দলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে বিধায়ক নিজেই জানিয়ে দিলেন যে ২০২৬ সালে বিধা꧋নসভা নির্বাচনে আর তাঁকে প্রার্থী করবে না তৃণমূল। আর এমন কথা জানানোর পরেই ‘নতুন ভাবনার’ কথা পোস্ট করেন মনোরঞ্জন। এনিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এই আবহে মনোরঞ্জনকে পরোক্ষে বিজেপিতে আমন্ত্রণ জানালেন দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই বিস্ফোরক মনোরঞ্জন, র🦋াহু-কেতু, বিষাক্ত মা মনসা বলে ক🔜াদের নিশানা করলেন?
বলাগড়ের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিধায়কের তিক্ত সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। তবে বলাগড়ে তৃণমূল পিছিয়ে থাকার জন্য অনেকেই বিধায়ককেই দায়ী করেছেন। যদিও মনোরঞ্জন আগেই জানিয়েছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নির্বাচনে🗹র কাজ থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছিলেন। তবে সেখানকার স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, বিধায়কের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই সেখানে তৃণমূলকে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে।এই অবস্থায় দলের কিছু নেতাদের বিরু♉দ্ধে খুব ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বলাগড়ের বিধায়ক। তিনি বলেছেন, দলের কিছু লোকের কাছে তিনি চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছেন। তারা দলের নেত্রীর কাছে অনেক অভিযোগ জানিয়েছে। নেত্রীও তাদের কথা শুনে বিরক্ত হয়ে নির্বাচনের কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। বিধায়ক জানান, তিনি এরপর প্রচার থেকে দূরে থেকেছেন।
এরপরে সোশ্যাল মাধ্যমে মনোরঞ্জন আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে লে♍খেন, ‘পুরনো মুছলে তবে নতুন লেখা যায়। আর পুরনো মাথার উপরে চেপে থাকলে নতুন ভাবনা আসে না।’ মনোরঞ্জনের এই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টকে ঘি❀রে এখন জল্পনা তুঙ্গে বলাগড়ের রাজনীতিতে। তাহলে কি তিনি দলবদল করতে চলেছেন? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। যদিও বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই তিনি পদ ছাড়বে না। তিনি সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে চান।