বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ আসানসোল কেন্দ্র থেকে হেভিওয়েট সায়নী ঘোষকে হারিয়েছিলেন। তবে লোকসভা উপনির্বাচনে ‘বিহারিবাবু’ শত্রুঘ্ন 💜সিনহাকে হার꧙াতে পারলেন না বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল। আর তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক💛াছে ক্ষমা চাইলেন অগ্নিমিত্রা। মোদীকে ট্যাগ করে একটি টুইট করেন আসানসোল♒ে দক্ষিণের বিধায়ক। সেখানেই তিনি মোদীকে প্রতিশ্রুতে দেন যে তিনি তাঁর লড়াই জারি রাখবেন।
টুইট বার্তায় অগ্নিমিত্রা পাল লিখেছেন, ‘মোদীজি আমি দুঃখিত। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেও এই আসন আপনাকে জয় এনে দিতে পারলাম না। আমার লড়াই ছিলღ বাংলার গণতন্ত্র রক্ষা করার লক্ষ্যে। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, বাবুলের ছেড়ে যাওয়া আসনে শত্রুঘ্ন সিনহার কাছে তিন লাখেরও বেশি ভোটে হেরেছেন অগ্নিমিত্রা পাল। নিজের বিধানসভা এলাকা থেকেও পিছিয়ে থেকেছেন বিজেপি নেত্রী।
এর আগে গতকাল 🎃এই নির্বাচন প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘এটাকে একটা স্টেপিং স্টোন হিসাবে দেখে আমাদের ২০২৪-এর জন্য তৈরি হতে হবে। শুধু আসানসোলে নয়, সব জায়গায়। এত সন্ত্রাস। কিন্তু সন্ত্রাস থাকবেই। তৃণমূল মানেই ছাপ্পা, মানুষ খু♔ন। কিন্তু এটার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কিছু করতে গেলে তৃণমূলের এই সন্ত্রাসকে ছাপিয়ে কাজ করতে হবে। সংগঠনকে শক্ত করতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত꧟্রিসভা থেকে বাদ পড়তেই ‘রাজনৈতিক সন্ন্যাস’ গ্রহণ করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এরপরই ‘প্রথম একাদশে’ খেলার ইচ্ছে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। লোকসভা থেকে ইস্তফা দেন বাবুল। তাঁর সেই ছেড়ে আসা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীꦉ করে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করে ‘ঘরের মেয়ে’ অগ্নিমিত্রাকে। তবে তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ প্রার্থীকে টেক্কা দিতে পারলেন না অগ্নিমিত্রা। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিয়ধানসভার মধ্যে ৬টিতে পিছিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। শুধুমাত্র কুলটি কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভাওয়াড়ি ফলের নিরিথে বিজেপি সবকটি আসনেই এগিয়ে ছিল। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র দুটিতে জিততে সক্ষম হয় বিজেপি। তবে ২০২২ সালের উপনির্বাচনে আসানসোলে আরও জমি হারানোর ইঙ্গিত পেল বিজেপি।