একের পর এক নির্বাচনဣে পাহাড়ে কার্যত কোণঠাসা মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং।তবে গোর্খাল্য়ান্ডের সেই চিরাচরিত দাবি থেকে এখনও পুরোপুরি সরে আসেননি তিনি। এবার একেবারে রাজধানী দিল্লির বুকে মোর্চার উদ্যোগে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে সেই গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সামনে রেখেই দুদিনের সেমিনার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গুরুংয়ের ডাকে আয়োজিত সেই সেমিনারে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড।
যে হামরো পার্টি এবার কার্যত ধুমকেতুর মতো উঠে এসেছিল দার্জিলিংয়ে। আর জন্মের কয়েকমাসের মধ্যেই দার্জিলিং পুরসভা দখল করেছে হামরো পার্টি। ৩২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতেই জিতেছিল হামরো পার্টি। পরে ꦑঅবশ্য় ৬জন কাউন্সিলর অনীত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দিয়েছিলেন। তবে কি এবার পাহাড়ে নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে র🅷াখতে ও অনীত থাপাকে রুখতে গুরুংয়ের সঙ্গে হাত মেলাবেন অজয় এডওয়ার্ড?
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে উভয়েরই উভয়কে দরকার। গুরুং๊য়ের জনভিত্তিও ক্রমশ তলানিয়ে চলে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে ফের গোর্খাল্যান্ডের আবেগকে সামনে এনে নতুন করে ভেসে থাকার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মোর্চা। অন্যদিকে অনীতকে রুখতে বিমলের থেকে বড় সঙ্গী আর কেউ হতে পারেন না পাহাড়ে।
শুক্রবার হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড জানিয়েছিলেন, কনভেনশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যোগ দেব। গোর্খাল্যান্ডের দাবির সঙ্গে পাহ♍াড়ের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। আমরাও একই কথা বলে আসছি। তবে পাহাড়ে নতুন করে কোনও অস্থিরতা বা হিংসা আমরা চাই না।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে গুরুংয়ের কনভেনশনে অজয়ের আমন্ত্রণ রক্ষাকে ঘিরে নয়া সমীকরণের আভাস পাচ্ছেন অনেকেই। আর সেই সমীকরণের মূল সূত্রে সেই গোর্খাল্যান্ডের ইস্যু। বিগতদিনে এই গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতেই অশান্⛦ত হয়েছিল পাহাড়।মোর্চা সুপ্রিমোর বিমল গুরুংয়ের আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ হয়েছিল পাহাড়ের জনজীবন। কিন্তু গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সেমিনার হলেও অজয় এডওয়ার্ড আগাম জানিয়ে দিয়েছেন অশান্তি তিনি চান না। আর তার সঙ্গেই অনীথ থাপার দল ভাঙানোর রাজনীতিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়়েননি তিনি।