প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়েছিল প্রসূতিকে। তবে প্রসূতি সন্তানের জন্ম দিলেও তাকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে নার্সিংহোম চত্বরে দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই নার্সিংহোমটি বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ সুভাষ সরকারের নার্সিংহোম নামেই পরꦓিচিত। ফলে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ সামনে আসতেই মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যু প্রসূতির, ১২ লাখ টাকা ক্ষতিপূ𒁃রণ দিতে হবে নার্সিংহোমকে
জানা গিয়েছে, এদিন ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে সামিল হন বাঁকুড়ার পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা অলকা সেন মজুমদার, উপ পুরপ্রধান হীরালাল চট্টরাজ। এছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক শম্পা দরিপা থেকে শুরু করে তৃণমূলের আকধꦜিক নেতা কর্মী। এরফলে এই নার্সিংহোমে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় যুক্ত হয়েছে রাজনীতি। নার্সিংহোমের পাশাপাশি সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হন তৃণমূল নেতারা। ফলে অন্যমꦕাত্রা পায় এদিনের প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা।
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ওই প্রসূতির নাম মৌসুমী দে। তিনি বাঁকুড়া শহরের কামারপাড়া এলাকার বসিন্দা। প্রসব যন্ত্রণা ও𒈔ঠায় তাঁকে থানাগোড়া এলাকার ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি করেন পরিবারের সদস্যরা। গত ২১ মার্চ তাঁকে ভরতি করা হয়। এরপরেই তিনি ওই নার্সিংহোমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মৌসুমী। তাতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছিলেন পরিবা▨রের সদস্যরা। তবে সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সিজারের পর ক্রমেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তাঁর। তখন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায় রোগীর ডায়ালিসিস করতে হবে। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। কারণ ওই নার্সিংহোমে ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা ছিল না। কর্তৃপক্ষ তাঁকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে বলে।