মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে ত্রিবেণীতে কুম্ভ মেলার দিন কমাতে বাধ্য করেছে প্রশাসন। এমনই অভিযোগ করলেন কুম্ভ মেলার উদ্যোক্তারা। এছাড়া কুম্ভ মেলা আয়োজনের জন্য একাধিক শর্ত আরোপ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। গত ২ বছর ধরে মাঘ সংক্রান্তিতে হুগলির ত্রিবেণীতে ৩ দিনের কুম্ভ মেলার আয়োজন করছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। অভিযোগ, এবার প্রশাসনের চাপে দেড় দিনে মেলা শেষ করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।আয়োজকদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, এবছর মাধ্যমিকের কারণ দেখিয়ে কুম্ভ মেলার অনুমতিই দিচ্ছিল না জেলা পুলিশ। অবশেষে দেড় দিনে মেলা শেষ করার শর্ত মেনে নেওয়ায় মেলা আয়োজনের অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। ফলে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির শুরু হবে কুম্ভ মেলা। ১৩ ফেব্রুয়ারি হবে স্নান। এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা ছিল কুম্ভ মেলার। ১০ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যাচ্ছে মাধ্যমিকের সমস্ত বাধ্যতামূলক বিষয়ের পরীক্ষা।আয়োজকদের দাবি, ত্রিবেণীতে ৭০০ বছর আগে পর্যন্ত কুম্ভ মেলার আয়োজন হত। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২ বছর আগে ফের সেই মেলা চালু করে কয়েকটি সংগঠন। অভিযোগ, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে মেলার অনুমতি দিতে চায়নি প্রশাসন। পরে দেড় দিনে মেলা শেষ করার শর্তে মেলার মৌখিক অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে নানা শর্ত। মেলায় লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে না। শব্দমাত্রা ৩৬ ডেসিবেল পেরোবে না।কুম্ভ মেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক সাধন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বছর কুম্ভ মেলা তিন দিনের বদলে হবে দেড় দিনের। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য শর্তসাপেক্ষভাবে যা অনুমতি মিলেছে সেই নিয়েই হবে এই বছরের কুম্ভ মেলা। ১১ তারিখের বদলে ১২ তারিখ বিকাল থেকে শুরু হচ্ছে কুম্ভ। গত দুই বছরের তুলনায় এই বছর একটু ছোট আকারে হচ্ছে এবছরের মেলা’।বাঁশবেড়িয়া পুরসভার উপ পৌর প্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রথমে কুম্ভ মেলা বন্ধের কথা বলেছিল প্রশাসন। ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ছোটো করে মেলা করার। পুরসভা থেকে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টা দেখতে বলা হয়েছে। পানীয় জল পুরসভা দেবে। কথা মেনে সবটা করলে পুরসভা সাহায্য করবে।