এগরায় বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা। একাধিক মানুষের মৃত্যু। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে সেই ঘটনার প্রতিবাদেই ভগবানপুরে মিছিল করছিলেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। আর সেই মিছিলকে নিশানা করে বোমাবাজির অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল।সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার এগরার খাদিপুরে বিস্ফোরণ হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল একাধিক। তারই প্রতিবাদে ভগবানপুরের ভূপতিনগর থানার এলাকার পাউসি গ্রামে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির নেতৃত্বে মিছিল বেরিয়েছিল। আর সেই মিছিলেই তুমুল বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ। আতঙ্কে ছুটতে শুরু করেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। একাধিক বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর। সেই সময় পাশের মাঠ থেকে বোমাবাজি শুরু হয়ে। এরপর গুলির শব্দও শোনা যায় বলে বিজেপির দাবি। তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি প্রতিবাদ মিছিলে নির্বিচারে বোমাবাজি করেছে তৃণমূল।রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, আমাদের মিছিলে বোমা ফেলা হয়েছে। আমাদের বিধায়ক কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত। মহিলাদের শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। সিআইএসএফ গুলি চালাতে বাধ্য় হয়। পুলিশ নির্বিকার চিত্তে দাঁড়িয়েছিল। বোমাগুলি পুলিশের সামনে হল। অথচ পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখল।তবে বোমাবাজির অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিজেপির মিছিলে লোক হয় না। এটা ওদের পুরোটাই নাটকতবে স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশ এদিন মিছিল আটকানোর চেষ্টা করেছিল। তার মধ্য়েই মিছিল বাজারের কাছে আসতেই শুরু হয়ে যায় বোমাবাজি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এত বোমা আসছে কোথা থেকে?এদিকে ঘটনার পরেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মিছিলটি যখন যাচ্ছিল তখন কিছুটা দূরে বোমাবাজির শব্দ পাওয়া যায়।মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তারপর ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী এসেছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। এদিকে বিধায়কের নিরাপত্তায় ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁরা বিধায়কের সুরক্ষায় তৎপর হয়েছিলেন।