ফের পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ এল সন্দেশখালি থেকে। এবার এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তল্লাশিতে গ♌িয়ে বাড়ির মহিলাদের নিয়ে টানা হেঁচড়া করার অভিযোগ উঠল সন্দেশখালি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালির ভুঁইয়াপাড়া। বিজেপি কর্মী অময় ভুঁইয়ার পরিবারের সদস্যদের বাধায় ফিরে যেতে বাধ্য হয় পুলিশ।
আরও পড়ুন - শালবনিতে হဣচ্ছে না লৌহ - ইস্পাত কারখানা, জানিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
পড়তে থাকুন - ছাপ্পা ভোট পরিচালনার অভিযোগে গ্রেফতার দলের নেতা, ফের মুখ পুড়ল তৃণমূল💜ের
পুলিশের দাবি, ১ জুন ভোটগ্রহণের দিন সন্দেশখালিতে অশান্তি পাকানোর মূলে ছিলেন বিজেপি নেতা অময় ভুঁইয়া। তাঁকে গ্রেফতার করতে সোমবার সন্ধ্যায় সন্দেশখালির ভুঁইয়াপাড়ায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশব🌼াহিনী। চারি দিকে ভেড়ি দিয়ে ঘেরা অময়বাবুর বাড়িতে আল ধরে হেঁটে পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন মহিলা ব়্যাফের কর্মীরা ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
অময়বাবুর বাড়িতে পৌঁছতেই ঘর থেকে বেরিয়ে পুলিশকর্মীদের বাধা দেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চান তাঁরা। ওদিকে ব়্যাফের কর্মীরা মহিলাদের ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বার করেন। কিন্তু কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে পারেননি পুলিশ আধিকারিকরা। এর পর পরিবারের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশকর্মীরা। পুলিশকর্মীদের তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিজে🌟পি কর্মীর বাড়ির মহিলা সদস্যরা। পুলিশ আধিকারিকদের ‘মমতার চামচা’ বলে কটাক্ষ করেন তাঁরা। বাধার মুখꦚে ফিরে যেতে বাধ্য হয় পুলিশ।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনী পাত্র। তিনি বলেন, ভোটগ্রহণে যাতে বিজেপির নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ না করেন সেজন্য পুলিশকে ব্যবহার করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে নীরিহ গ্রামবাসীꦆদ♕ের ওপরে অত্যাচার চালাচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন - মন্ত্রিত্ব🌄ের শর্তেই TMCর সাথে সেটিং? ভাঙড়ে নওসাদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোমবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সোমবার সকালে বেড়মজুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হালদারপাড়ায় বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। তাদের🐈 অভিযোগ, রাতে পুলিশের পোশাক পরে এসে তৃণমূলের গুন্ডারা ঘর তল্লাশির নামে নির্যাতন করছে। গ্রাম পুরুষশূন্য। এদিন বেড়মজুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হালদারপাড়ায় যান বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। তাঁকে অভিযোগ জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক মহিলা।