শিলিগুড়ি কাছারি মোড়ের কাছে রাস্তাতেই উলটে পড়েছিলেন এক মহিলা। বুধবার দুপুরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মদন ভট্টাচার্য ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে♐ন। কিন্তু কীভাবে এখানে এলেন বধূ? তিনি পুলিশকে জানান, তিনদিন ধরে তিনজন যুবক তাঁকে আটকে রেখে দিয়েছিল। শারীরিক নির্যাতনও করেছে বলে তিনি দাবি করেন। এরপর একেবারে হইচই পড়ে যায়। ওই মহিলা জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি অসমের গোঁসাইগাঁওতে। কাজ দেওয়ার নাম করে তাঁকে নিউ কোচবিহারে নিয়ে এসে যুবকদের হাতে ছেড়ে দিয়েছিল বলে তিনি দাবি করেন। এমনকী তিনি দাবি করেন আলিপুরদুয়ারে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। এদিকে ঘটনার কথা শুনে পুলিশের রাতের ঘুম উড়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিতে শুরু করে পুলিশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে আচﷺমকাই এক যুবক ও অপর এক মহিলা পুলিশের কাছে দাবি করেন তাঁরা ওই মহিলার স্বামী ও শাশুড়ি। আসলে ওই মহিলা মাদকাসক্ত। নিজের নেশার কথা লুকোতেই তিনি অপহর🎃ণের গল্প ফেঁদেছিলেন। তাঁকে কেউ অপহরণ করেনি। তিনি নেশা করেই পড়েছিলেন রাস্তায়।
এদিকে স্বামী 🐭এলেও তিনি ♉প্রথম দিকে না চেনার ভান করেন। তবে শেষ পর্যন্ত বধূর আধার কার্ড তিনি পুলিশকে দেখান। এরপর আসল কথা সামনে আসে। আসলে এনজেপি থানা এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। সম্ভবত তিনি মাদক🅘াসক্ত। অতিরিক্ত মাদꦅক বা মদ খেয়ে তিনি চূড় হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। বিষয়টি চাপা দিতেই তিনি অপহরণের গল্প ফেঁদেছিলেন। আপাতত তাঁকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।