আগামী ১৪ দিন তাঁকে থাকতে হবে আসানসোল সংশোধনাগারে। বিচারকের নির্দেশ মতো এই হাইপ্রোফাইল বন্দির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে ফেলেছেন কারা কর্তৃপক্ষ। কারণ অনুব্রত মণ্ডলের কোভিডের র্যাপিড টেস্ট করা হয়। তাতেই ধরা পড়ে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। অনুব্রত মণ্ডল প্রত্যেকদিন ৩৭টি ওষুধ খান।🌄 রাতে ঘুমানোর আগে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে নেবুলাইজার এবং অক্সিজেন মাস্ক লাগে অনুব্রত মণ্ডলের। এছাড়া যে কোনও সময় প্রয়োজন হয় ইনহেলার ও অক্সিজেন মাস্কের। এই অনুব্রতর চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালনের জন্য সংশোধনাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।
কেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের?🌊🎃 জেল সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে সেলে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁর শোয়ার জন্য একটি চৌকি দেওয়া হয়েছে। এমনকী একটি টেবিল ফ্যানও দেওয়া হয়েছে। ফলে তাঁকে মাটিতে শুতে হয়নি। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। প্রেসিডেন্সি জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শুরুতে মাটিতে শুতে হয়েছিল। পরে খাট মিলেছিল। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল শুরু থেকেই খাট পাচ্ছেন আসানসোল সশোধনাগারে। তবে বেশি রাত পর্যন্ত তিনি জেগে ছিলেন। পরে ঘুমিয়ে পড়েন।
আর কী জানা যাচ্ছে? অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা 🐭তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়টি উল্লেখ করে জামিন চেয়েছিলেন। যদিও তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তবে এবার বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীরা জোর সওয়াল করতে পারেন বলে ꦏসূত্রের খবর। অনুব্রত মণ্ডলের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে একটি লোহার বেড ও কম্বল। তবে সেলের সঙ্গেই রয়েছে একটি শৌচালয়। এই সংশোধনাগারেই বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের একদা 🐻দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। যদিও তাঁর সঙ্গে অনুব্রতর দেখা হওয়ার সুযোগ নেই। সায়গল ছাড়াও এই সংশোধনাগারে কয়লা পাচার কাণ্ডে বন্দি ইসিএলের একাধিক জেনারেল ম্যানেজার–সহ শীর্ষ আধিকারিকরা রয়েছেন।
কেমন কাটল প্রথম রাত? সংশোধনাগার সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল জেলে এসেছেন খবর চাউর হতেই বাকি বন্দিদের মধ্যেও দেখার উৎসাহ বেড়েছিল। কিন্তু সেই উৎসাহ বাস্তবে পরিণত হয়নি। সকাল থেকে যে আত্মবিশ্বাসী মেজাজ দেখা গিয়েছিল জেলে আসার পর তা দেখা যায়নি। গোটা সেল তিনি ভাল করে খতি💧য়ে দেখলেন। কারও সঙ্গে কথা বলেননি। কপালে হাত রেথে কি যেন ভাবছিলেন। বেশি রাত পর্যন্ত জেগে ছিলেন। তবে ওষুধ খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়লেন।