আবার জেল হেফাজতে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোল জেলা আদালত। আজ, শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। কিন্তু দেখা গেল কেষ্টর জামিনের আবেদনই জানানো হয়নি। সুতরাং সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে আবার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তার ফলে ৯ ডিসেম্বর পর্ꦗযন্ত তিনি জেলে থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে যেতে চায় ইডি। আর সেটা নিয়ে আজ শুনানি হওয়ার কথা দিল্লি হাইকোর্টে। সেখানেই ছবি পরিষ্কার হয়ে যাবে তাঁকে নিয়ে নয়াদিল্লি যাওয়া 💛হবে কি না। কিছুদিন আগে আসানসোল জেলে গিয়ে ইডি গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তাই তদন্তের স্বার্থে ইডি আধিকারিকরা তাঁকে তিহার জেলে রেখে জেরা করতে চান। তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সায়গল–অমুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার ভাবনা রয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে তাঁকে নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে কিনা সেটা ঠিক হবে।
তাহলে কী ইডি কেষ্টকে নয়াদিল্লি নিয়ে যেতে পারবে? সূত্রের খবর, তদন্তে উঠে এসেছে অনুব্রতর নামে–বেনামে প্রচুর সম🌄্পত্তির হদিশ। সে🦹ই সম্পত্তির উত্স জানতে গত ১৭ নভেম্বর অনুব্রতকে টানা ৫ ঘণ্টা জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় 💖সেদিনই কেষ্টকে ‘সোন অ্যারেস্ট’ করে ইডি। আর অনুব্রতকে নয়াদিল্লি নিয়ে যেতে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার আবেদন জানানো হয়। আর তখন থেকেই আসানসোল সংশোধনাগারে বসে প্রমাদ গুনতে ꧑শুরু করেন অনুব্রত মণ্ডল।
উল্লেখ🔯্য, সুকন্যাকে নয়াদিল্লিতে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এমনকী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত–সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। সেখানে থেকে প্রচুর তথ্য পান অফিসাররা। এখন সায়গল হোসেনের পাশাপাশি নয়াদিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন গরু পাচার চক্রের কিংপিন এনামুল হকও। কেষ্ট সেখানে পৌঁছলেই ইডির ত্রিভুজ কমপ্লিট।