করোনার আতঙ্কে কার্যত ঘরবন্দি আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সেই পরিবারও নানা উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার ছুটির দিনেও বাড়িতে বসে না থেকে কর্তব্য সম্পাদনে রাস্তায় নামলেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র মিনা। করোনা রোগীদের দরজার সামনে পৌঁছে গেলেন তিনি। সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্তারা। একেবারে হাতজোড় করে তাঁদের আশ্বস্ত করলেন তিনি। ঘরের দুয়ারে জেলাশাসককে দেখে কিছুটা হলেও মনোবল ফিরে পেলেন চা বলয়ের বাসিন্দারা। তবে শুধু রোগীদের সম্পর্কে খোঁজখবর করাই নয়, সঙ্গে করে কাঁচা সবজি, চাল, ডাল, তেল, নুন, আটাও তিনি পোঁছে দিলেন করোনা রোগীদের বাড়িতে। সঙ্গে স্য়ানিটাইজার, মাস্ক, সাবানও তিনি পৌঁছে দেন। এই ছবি দেখে নিঃসন্দেহে প্রশাসনের প্রতি আস্থা ফিরে পেয়েছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। এক রোগীর পরিবারের সদস্য বলেন, ‘এতদিন একলা লাগছিল। এখন মনে হচ্ছে পাশে কেউ আছেন। খুব ভালো লাগছে।’স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৪, ১৪ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে জেলাতে করোনাতে মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। সব মিলিয়ে উদ্বেগের পারদ চড়ছে ক্রমশ। এসবের মধ্যে পাশে এসে দাঁড়ালেন খোদ জেলাশাসক। পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তিনি। জেলাশাসক বলেন, ‘বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’ বাসিন্দাদের মতে, গোটা রাজ্য জুড়ে যখন নানা হতাশা ক্রমেই জাঁকিয়ে বসছে তখন আশা জাগায় পাশে থাকার এই আশ্বাসগুলি।