অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল কারখানা। সেগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করল পুরসভা। প্রচুর অঙ্কের জরিমানা করা হল মালিকদের। জামুড়িয়া ও রানীগঞ্জের শিল্প তালুকে ১১টি কারখানা অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ। এই কারখানাগুলিকে ৫০০ কোটি টাকা জরিমানা করে নোটিশ পাঠিয়েছে আসানসোল পুরসভা। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। তব🌌ে প্রশ্ন উঠেছে, টাকা দিলেই কি অবৈধ নির্মাণ বৈধ হয়ে যাবে!
আরও পড়ুন: মন্দারমণির হোটেল-সমুদ্রসৈকত শুনশান,ඣ বেআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে চাপে ব্যবসায়ীরা
পুরসভা সূত্রের খবর, সরকারি জমি দখল করে এই কারখানাগুলি বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছিল। তাছাড়া বৈধ প্ল্যান ছিল না। এই ১১ টি কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ পায় আসানসোল পুরসভা। সেই অভিযোগ পেয়েই আসানসোল পুরনিগম বিষয়টি খতিয়ে দেখে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি জরিমꦰানার নোটিশ জারি করে কারখানাগুলিকে। এই ঘটনায় কারখানার মালিকরা জরিমানা মুকুবের আবেদন জানিয়ে মেয়রের দ্বারস্থ হয়েছেন। জানা গিয়েছে, কারখানার মালিকরা মঙ্গলবার মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। মেয়র সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যেহেতু অবৈধ নির্মাণ তাই সেগুলি ভেঙে ফেলতে হবে অথবা জরিমানা দিতে হবে। আর এরজন্য ১৫ দিন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মেয়র।
উল্লেখ্য, জামুড়িয়া ও রানীগঞ্জ শিল্পতালুক এলাকা দুটি আসানসোল পুরনিগমের মধ্যে পড়ে। জানা গিয়েছে, এই কারখানাগুলি ♏নির্ধারিত বৈধ প্ল্যান বা নকশা ছাড়াও নির্মাণ হওয়ার ফলে ওই এলাকায় বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে । ওইসব এলাকায় জলনিকাশী ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে। যারফলে অসুবিধা🌜র মধ্যে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এর প্রতিবাদে তারা একাধিকবার কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছেন। বিধান উপাধ্যায় জানান, ৬ মাস আগে ওই এলাকায় পুরসভার একটি দল পরিদর্শনে গিয়েছিল। সেই সময় কারখানাগুলির মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তাদের অবিলম্বে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বলা হয়েছিল। এরপর কিছুদিন আগে কারখানার মালিকরা পুরসভায় আসেন। তারা জরিমানা মুকুবের আর্জি জানান। তবে তিনি তাতে সম্মতি দেননি। তাই শেষমেষ কারখানার মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা জরিমানার টাকা মেটাবেন। এর জন্য তারা ১৫ দিন সময় চেয়েছেন।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, যেহেতু সেগুলি অবৈধ নির্মাণ তাই টাকা দিলেই কি বৈধ হয়ে যাবে? এ প্রসঙ্গে বিধান উপাধ্যায় বলেন, যখন তারা নির্মাণ করে ফেলেছেন তখন সেটি না ভেঙে তারা সরকারকে অর্থাৎ মানুষের উন্নয়নের জন্য যদি কিছু টাকা দেয় তাহলে প্রশাসনিকভাবে স🐓েটা ജবৈধ করার ব্যবস্থা করা হবে। এতে কারখানাও বাঁচবে আর মানুষের উন্নয়নও হবে।