হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড। ব্যাপার🧸টা, বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছুটা নতুন। আসলে বিষয়টা হল পডুয়াদের সার্বিক উন্নতি কেমন হচ্ছে সেটাই উল্লেখ করা থাকবে এই রিপোর্ট কার্ডে। তবে গত বছর থেকেই এনিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে এবার এই হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড তৈরি ♚করার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এনিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। একজন পড়ুয়া কেবলমাত্র পড়াশোনায় ভালো হবে সেটাই নয়। তার আচরণও যাতে ঠিকঠাক থাকে সেটা দেখাটাও শিক্ষকদের কর্তব্য। সেক্ষেত্রে কোনও ছাত্র বা ছাত্রী তার সার্বিক বিকাশ কেমন হচ্ছে সেটা নিয়েই এই হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড। স্কুলের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের বৌদ্ধিক বিকাশ কতটা হচ্ছে সেটার প্রতিফলন হবে এই রিপোর্ট কার্ডে।
কোনও ছাত্র বা ছাত্রী হয়তো অঙ্কে ভয় পায় কিন্তু ইংরেজি তার খুব পছন্দের বিষয়। আবার কেউ হয়তো একটু একলা থাকতে পছন্দ করে। কারোর হয়তো কিছু খারাপ আচরণ রয়েছে বা কোথাও হয়তো সে নিজেকে গুটিয়ে রাখে। এসবই বোঝা যাবে হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ডে। সেই মতো তাদের অভিভাবকরাও জানতে পারবেন যে তাদের সন্তানদের কতটা মানসিক বিকাশ হচ্ছে। সেই মতো সকলে মিলে পদক্ষেপ নিতে পারবেন। প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোনও ছাত্রের কতটা বিকাশ হল সেটা বোঝা যাবে এই হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ডের মাধ্য়মে।
এদিকে এই হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ডটি স্কুলেও রাখতে হবে। ৩২ পাতার এই মূল্যায়নপত্র। সেখানে প্রতি ছাত্রের আলাদা করে মূল্যায়নের বিষয়গুলি লেখা থাকবে। সেক্ষেত্রে স্কুলে সেই বিপুল সংখ্যক নথি রাখাটাও সমস্যার। কারণ প্রতি বছরই সেই সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে। সেকারণে এই রিপোর্ট কার্ডটি যাতে পোর্টালের আপলোড করা যায় সেই দাওবি জানাচ্ছেন শিক্ষকদের একাংশ। কারণ অনলাইনে এই রিপোর্ট কার্ড থাকলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে শিক্ষক অনলাইনে তা দেখে নিতে পারবেন। এতে আলাদা করে এর হার্ড কপি রাখার আর দরকার নেই। শিক্ষকরা প্রয়োজনে নির্দিষ্ট বছরে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ছাত্রের মূল্যায়নপত্রগুলি দেখে নিতে পারবেন। বাংলার শিক্ষা পোর্টালে এই হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
এই হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ডেরཧ উপর সরাসরি নম্বরের কোনও বিষয় যুক্ত থাকবে না। তবে এই রিপোর্ট কার্ড দেখলে সার্বিকভাবে কোনও পড়ুয়ার কতটা বিকাশ হচ্ছে সেটা বোঝা যাবে। কোথায় তার কতটা নজর দেওয়া দরকার সেটাও বোঝা যাবে এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে।