ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এবং ভরা কোটালের দাপটে বাংলায় কমপক্ষে দু'জনের মৃত্যু হল। পূর্ব মেদিনীপুরে একজন মারা গিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘোড়ামারায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এক শিশুরও খোঁজ মিলছে না বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। নৈহাটিতে এক যুবক গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছেন। বুধবার ঘূর্ণিঝড় এবং ভরা কোটালের প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস হয়। বেড়ে যায় সমুদ্র এবং নদীর জলস্তর। একই অবস্থা হয় পূর্ব মেদিনীপুরে। মন্দারমণির কালিন্দী গ্রামে জলের স্রোতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয় কানাই গিরি (৫৫) নামে এক ব্যক্তির। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েকজনের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়। জলোচ্ছ্বাসের জেরে তাঁরা ডুবে যান। পরে প্রৌঢ়ের দেহ ভেসে ওঠে। খোঁজ মিলছিল না আরও এক যুবকের। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এক ব্যক্তি ত্রাণ শিবিরে এসে গিয়েছিলেন। তারপর জাল ফেলতে গিয়েছিলেন। সেখানে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। এটা ‘অ্যাক্সিডেন্টাল’ (দুর্ঘটনাবশত) মৃত্যু। জলোচ্ছ্বাসের জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের ঘোড়ামারা দ্বীপে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মুড়িগঙ্গার জলস্তর বাড়তে থাকায় বুধবার কার্যত জলমগ্ন হয়ে পড়ে ঘোড়ামারা দ্বীপ। আগেভাগেই অবশ্য এলাকার বেশিরভাগ মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু দুপুরের দিকে বাড়ির অবস্থা দেখতে যান বৃন্দাবন জানা নামে ওই ব্যক্তি। সেইসময় নদীবাঁধ ভেঙে হুড়মুড়িয়ে এলাকায় জল ঢুকে পড়ে। জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি। পরে বিকেলের তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। সেইসময় এক শিশুও ভেসে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে, বুধবার নৈহাটির রামঘাটে গঙ্গায় তলিয়ে যান ভোলা দাস (১৯) নামে এক যুবক। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, নৌকার মাধ্যমে গঙ্গায় যাত্রী পারাপারের ব্যবসা আছে। ভরা কোটাল এবং ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আগেভাগেই নৌকা বেঁধে রেখেছিলেন ভোলারা। কিন্তু প্রবল হাওয়ায় বুধবার বাঁধন ছিঁড়ে যায়। নৌকা ফিরিয়ে আনতে গিয়েই গঙ্গায় তলিয়ে যান ভোলা। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।