নাম রাজীব মজুমদার। বুধবার আচমকাই নবান্নের সামনে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। তবে গায়ে কেরোসিন ঢাললেও ত🌄িনি আগুন জ্বালাতে পারেননি । তার আগেই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। এদিকে নবান্নের মতো হাই সিকিউরিটি জোনের কাছে এই ঘটনায়🀅 স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তবে কেন তিনি নবান্নের সামনে এই কাণ্ড ঘটাতে গেলেন?
সূত্রের খবর, তিনি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র স🤡চিবের সঙ্༺গেও তিনি দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নবান্নে ঢুকতে না পেরে তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন বলে জানা গিয়েছে।
তিনি মূক ও বধির। পুলিশ কর্মীরা তাকে থামানোর চেষℱ্টা করেন। সেই সময় ধস্তাধস্তির জেরে তিনি কিছুটা আহত হয়েছেন। তাঁকে আপাতত হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছ🔯ে। পরে তাকে থানাতেও নিয়ে আসা হয়।
কিন্তু কেন তিনি এই কাণ্ড ঘটাতে গেলেন? তার বাড়ি কোথায়? প্রাথমিকভাবে পুলিশ তার কাছ থেকে বিষয়টা জানার চেষ্টা করেছে। আকারে ইঙ্গিতে, লিখিতভাবে সে পুলিশকে জানিয়েছে, তার বাড়ি আসলে উဣত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লিতে। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চাকরির চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছুতেই তিনি একটি চাকরি জোটাতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। কার্যত বাধ্য হয়েই তিনি এদিন নবান্নের কাছে চলে এসেছিলেন।
বর্তমানে তিনি মা ও ভাইকে নিয়ে মধ্যমগ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। কিন্তু সেখানেও অত্যꦬন্ত কষ্টে থাকেন। একটা সময় খেলাতে ভালো ছিলেন তিনি। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাকে পুরস্কারও দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি জোটেনি তার। ক্রমশ ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছিলেন তিনি। অবশেষে তিনি নবান্নে এসেছিলেন চাকরির আশায়। এদিন নবান্নে ঢোকার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালান তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারনা সে সঙ্গে করে কেরোসিন নিয়ে এসেছিল। নবান্নে ঢুকতে না পেরেই সে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয়। এরপরই সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। নানা হুঁশিয়ারিও দেয় সে। কিন্তু পুলিশ কর্মীরা দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তবে তার কথা সব দিক মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। তার এই কাজের পেছনে অন্য কোনও কার🌄ণ রয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ। তার বাড়ির সঙ্গেও এব্যাপারে যোগাযোগ করা হচ্ছে।